
॥ রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ॥
তিন পার্বত্য জেলা পর্যটকদের কাছে টানতে নতুন নতুন স্পট তৈরি করে ড্রপ লাইন সৃষ্টি ঝুলন্ত ব্রিজকে উঁচু করে পানি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। তাহলে এই পর্যটন শিল্পে উন্নতি করা যাবে। বর্তমানে রাঙ্গামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রিজ ও শুভলং ঝর্ণা দেখতে শত শত পর্যটক আসে। বর্তমানে মাত্র একটা ঝর্ণা দিয়ে পানি পরে।
ইতিপূর্বে অনেকগুলো ঝর্ণা ছিল। ওইসব ঝর্ণাগুলোকে পুনরায় চালু করতে হবে। বর্ষা শেষে শুকনো মৌসুমে কৃত্রিম পানি সরবরাহ করে ঝর্ণা চালু রাখা দরকার। এছাড়াও শুভলং এ একটা রেস্ট হাউস তৈরি করে পর্যটকদের দিনরাত্রি অবস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে অনেক পর্যটক আকৃষ্ট হবে। লংগদর কাট্টলী বাজারে পর্যটকদের জন্য একটা টাওয়ার ও বেস্ট হাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন লংগদুর তৎকালীন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা। বর্তমানে তা পড়ে আছে। কাট্টলি হ্রদের মাঝখানে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যাবে সহজে।
অন্যদিকে বরকল উপজেলা সদরের হ্রদের পাড়ে পাকিস্তান টিলা নামে একটা উঁচু পাহাড় রয়েছে। ওটাকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে ব্যবহার করা গেলে অনেকেই আকৃষ্ট হবে। বরকল উপজেলা সদরের সম্মুখে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্য এত মনোরম যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা গেলে বোটের মধ্যে রাত্রিযাপন অনেক বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে। বরকল উপজেলা সদরে পাহাড়ের উপর রেষ্ট হাউজ অথবা বাংলো তৈরী করা গেলে পর্যটকরা আকৃষ্ট হবে। অন্যদিকে বিদেশিদের মতো রাঙ্গামাটি শহরের হ্রদ এলাকায় হাউজবোটের রাত্রি যাপানের জন্য বোট তৈরি করা গেলেও পর্যটক বাড়বে।
এছাড়াও রাঙ্গামাটি পর্যটনের ডিয়ার পার্ক থেকে বালুখালি হটিকালচার উদ্যান পর্যন্ত রোফ লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেটা কার্যকর করা গেলেও অনেক পর্যটক বাড়বে।
বর্তমানে রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বেশী। কাপ্তাইয়ের রাম পাহাড় ও সীতা পাহাড় ঐতিহাসিক স্মৃতি জড়িত। রাম সীতা পাহাড়ের মধ্যে রোফ লাইন স্থাপন করা যায় তাহলে পর্যটক ধরে রাখা যাবে। এমনিতেই কাপ্তাইয়ে রয়েছে বিশাল সংরক্ষিত বনাঞ্চল। যেখানে অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে। অনেকেই বন্যপ্রাণী দেখতে আগ্রহী।
এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলা লামা, আলীকদম, রুমা ও থানচি উপজেলা বর্তমানে পর্যটকদের জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে তাকে আরো উন্নতমানের করলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগাযোগের উন্নয়ন করা গেলে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে যে টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে তার পরিধি আরো বাড়াতে হবে। কেননা পর্যটকদের নিরাপত্তার দেয়া না গেলে পর্যটক কমে যাবে।
কর্ণফুলী নদীর ওপর চন্দ্রঘোনা লিচু বাগানে যে সেতু তৈরি করার কথা রয়েছে সেটাকে জরুরি ভিত্তিতে সেতু তৈরি করে যাতায়াতের জন্য সহজ করতে হবে। তাহলে দিনে রাতে যাতায়াত করতে পারবে পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় জনগণের উপকারে আসবে।
ইতিপূর্বে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পর্যটনের উন্নতির জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিলেন। বিশেষ একটি মহল বিরোধিতার কারণে ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। বাইরের লোকদের দ্বারা কোন প্রকল্প না দিয়ে স্থানীয়দের দ্বারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কাজের গুণগত মান ঠিক থাকবে।