বিশেষ প্রতিনিধি।।বান্দরবান।।
বান্দরবানে কেএনএফ সদস্যরা সন্ত্রাসী কায়দায় যেসব কার্যকলাপ চালিয়েছে যেটি সম্প্রীতি বান্দরবানে প্রথম ঘটনা। শান্তির আলোচনাকালে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে সেটি জঘন্য অপরাধ করেছে। কেএনএফের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণের গ্রাম ছাড়া পাশাপাশি শিক্ষার্থীর ও নিরীহ মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। যার ফলে বম সম্প্রদায়ের সকল জাতিগোষ্ঠীরা বিপদগ্রস্থের পাশাপাশি ক্ষতির প্রভাব পড়ছে পুরো জেলায়। তাই বিপদগামী পথ থেকে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতির ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্যে করেন বক্তারা।
এসময় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনতে জীবন বাজি রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি কেএনএফের সাথে আলোচনায় বসেছে। আলোচনায় কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সদস্যরা যেসব দাবি-দাওয়া করেছে সেটি জন্য সরকার কাজ করছে। সরকার তাদের জন্য পূর্ণবাসন করাও প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু আলোচনাকালে কেএনএফ সদস্যরা এভাবে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র, ও অর্থ লুটপাটের ঘটনা ঘটাবে সেটি ছিল কল্পনার বাইরে। ফলে ঘটনাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চলে গেছে। তাদের এই অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণের বর্তমানে পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বম সম্প্রদায়সহ পাহাড়ের অনান্য জাতিগোষ্ঠীরা।
বক্তারা আরো বলেন, কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সদস্যরা যেসব স্বায়িত্বশাসিত চেয়েছেন সেটি কখনো সম্ভব নয়। তারা যদি এভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীর কার্যক্রম চালাতে থাকে তাহলে ঘটনা কোন দিকে যাবে সেটি বলার বাইরে। কেএনএফের প্রধান নাথাম বম আলোচনায় না আসলে কখনো সমাধান হওয়ার সম্ভব নয়। তাদেরকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা নতুন নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। তাই সেসব প্রস্তাবকে নিয়ে সামনে কেএনএফ সদস্যদের সাথে আলোচনা পথে এগিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।
সভায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি মুখ্যপাত্র কাঞ্চন জয় ততংচঙ্গ্যা, বম সোস্যাল কমিটি সভাপতি লালজার লম বম, ম্রো কাউন্সিল সভাপতি রাংলাই ম্রোসহ শান্তি কমিটি সদস্য ও পাহাড়ের ১২টি জাতিগোষ্ঠী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।