
।।বান্দরবান প্রতিনিধি।।
পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীদের নিয়ে যারা প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই নিজের পছন্দ ব্যক্তিকে দেশ পরিচালনা জন্য দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তা কোন মতেই কাম্য নয়। আমরা পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে রাজপথে নেমেছি। কিন্তু অর্ন্তবর্তীনকালী সরকার এসেই আদিবাসীদের সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী পায়তারা করছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে৷ জেলা পরিষদের প্রতিনিধিত্ব নিয়োগে ক্ষেত্রে বৈষম্যের বিরোধী আদিবাসী ছাত্র-জনতা সাথে অন্তর্বর্তীনকালী সরকার আলোচনায় না বসলে রাজপথে নামার হুশিয়ারি দেন আদিবাসী ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সকাল এগারোটায় শহরে শহীদ বীর সাঈদ মুক্ত মঞ্চে সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালনকালে এসব কথা বলেন বৈষম্যের বিরোধী আদিবাসী ছাত্র-জনতা।
এর আগে সমাবেশে “আমরা আলাপ চাই,আলাপ হোক এই প্রতিপাদ্যে বিভিন্ন ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে সমাবেশ মিছিল বের করা হয়। এসময় শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শতাধিক বাংলাদেশ সচেতন আদিবাসী- ছাত্র-জনতা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চাই অতি দ্রুত আদিবাসীদের যেসব সংগঠন ও স্টেক-হোল্ডার আছে, তাদের সাথে আলোচনা করেই প্রতিনিধি ঠিক করার হোক। যে প্রতিনিধি পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি কোথায় সমস্যা আছে তা নিয়ে আলোচনা করে সৎ ও প্রতিবাদী করবে তাকেই প্রতিনিধিত্ব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, বছরের পর বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে হুমকি- দুমকি,গুম হত্যা, অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে পাহাড়ের মানুষ আতংঙ্কে জীবন-যাপন করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিধিত্ব এমনই একজন হবে যে প্রতিবাদী ও পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনবে।
সমাবেশে উসিংম্যা মারমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা, মারমা সম্প্রদায়ের উকিংওয়ং মারমা, অংশৈম্যাই মারমা, চাকমা সম্প্রদায়ের এডিশন চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিটন তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো সম্প্রদায়ের চংলক ম্রো, খেয়াং সম্প্রদায়ের হিরো খেয়াং, খুমী সম্প্রদায়ের সইনাং খুমী প্রমুখ।