
।। আকাশ মারমা মংসিং বান্দরবান।।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর অরাজকতা পরিস্থিতিতে ৬ আগস্ট থেকে কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন ট্রাফিক পুলিশসহ বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন। এরপর থেকে সারাদেশে ন্যায় সড়ক নিয়ন্ত্রণে বান্দরবানেও ট্রাফিক পুলিশ পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল না। এতে সড়কের শৃঙ্খলায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সারাদেশে ন্যায় সোমবার (১২ আগস্ট) শহরে প্রাণ কেন্দ্র বান্দরবান ট্রাফিক মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে গেল কয়েকদিন আগে ১১দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিক্ষোভ মিছিল করেন পুলিশ,২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সহ বেশ কয়েকটি বাহিনী। পরবর্তীতে আশ্বাস দেয়ার পর কর্মবিরতি পদত্যাগের পর নিজ কর্মস্থলে ফিরেন। কিন্তু পুরোদমে এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেননি অনেকেই।
পুলিশ বাহিনীরা জানিয়েছেন, স্বৈরাচারী সরকার পদত্যাগের খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের বিপদে ফেলে দালাল ও ভুয়া বিসিএস অফিসারগুলো পালিয়ে গেছেন। আর সব অপরাধের দায়ভার সাধারণ পুলিশ সদস্যদের উপর ছেড়ে দিয়ে গেছে। দেশের সব পুলিশ সদস্য এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কর্মস্থল যোগদান তো দূরের কথা ছাত্র-জনতার সাথে শত্রুতা কারণে পুলিশদের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করার স্বাধীনতাও হারিয়ে গেছে। যার ফলে ১১ দপফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। পরে অন্তর্বতীনকালীন সরকার ১১ দফা দাবী আশ্বাস দেয়াই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। দেশের এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে আশ্বাস তাদের।
বান্দরবান ট্রাফিক মোড়ে ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে সাথে আমাদের পুলিশ বাহিনী ভিতরেও বৈষম্য বিরোধী সংস্কারের ১১ দফা দাবিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশ্বাস দেয়ায় নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরেছি।
বান্দরবান ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা (টিআই) এমদাদুল হক বলেন, আজকে থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু। তবে ট্রাফিক মোড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আগামীকাল থেকে ট্রাফিকের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবে।