সেনা সহায়তা স্বাভাবিক জীবন যাপনের অঙ্গীকার করল বম সম্প্রদায় 

0
29

নিজস্ব প্রতিবেদক।।থানচি।।

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তে বসবাসরত কুকি-চিন তান্ডবের ঘরবাড়ী ছেড়ে গভীর গহিনের আশ্রয়ীত বস পরিবার দির্ঘ ১০ মাস পর স্বাভাবিক জীবনের ফিড়ে এসে নিজ গ্রামে বসবাসরত বম পরিবারকে সেনা বাহিনীর বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছে।

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী বাকলাই সাব জোন ক্যাম্প এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। সহায়তা মধ্যে প্রতি পরিবারকে চাউল – ১০ কেজি, আটা- ০২ কেজি,চিনি- ০২ কেজি, তৈল- ০২ লিটার, ডাল- ০২ কেজি,লবণ-০১ কেজি,সহ ০৭ জন শিক্ষার্থীকে ০১টি স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়।

জানা গেচ্ছে, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডারের আদেশে বান্দরবানের আলীকদম ১৬ ইবি জোনের অন্তর্ভুক্ত বাকলাইপাড়া সাব জোন ক্যাম্পের  অধিনায়ক মেজর মহেববুল্লাহ সাদী এসব সামগ্রী ১৫ পরিবারে হাতে তুলে দেয়া হয়।

এছাড়াও অসহায় বম পরিবারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরিক্ষা,বিনা মূল্যে ঔষধ চিকিৎসা প্রদান এবং এক বেলা পুষ্ঠি খাদ্য হিসেবে সু- স্বাধু খাওয়ার খাওয়ানো হয়েছে।

সেনা সহায়তা গ্রহন করে সাংবাদিকদের বাকলাই পাড়া বাসিন্দা সুমহেপন বম ৫০ দির্ঘস্বাস নিয়ে বলেন, “দীর্ঘ সময় বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে জীবন কাটাছিলাম গ্রামে ফিরে এবং সেনাবাহিনীর আমাদের মনের প্রশান্তি ও বেঁচে থাকার পথ খুজে পেয়েছে। আমাদের সন্তানরা শিক্ষার ব্যবস্থা এবং
আমাদের স্বাস্থ্য ঝুকির ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা পাবো। সেনা বাহিনী এ সুবিধাকে স্বাগত জানাই।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালে ৬ মার্চ পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) এর নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে বাকলাই পাড়ার ২৮টি পরিবার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়। সেনা সহায়তায়, ২৮টি পরিবারের মধ্যে ১৫টি পরিবার ৮১ সদস্য গত ২৩ জানুয়ারী জঙ্গল থেকে সেনা সহায়তা বাকলাই পাড়া নিজ গ্রামে ফিরে এসে মানবেতর জীবন যাপন করেছিল।

বাকলাই পাড়ার প্রধান লাল চম থাং বম ৬৮ বলেন, কেএনএফ নির্যাতন, হুমকি ও লুটপাটের দীর্ঘ ২৩ মাস বন ও জঙ্গলে ছিলাম। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আমাদের বাসস্থান ফিরিয়ে দিয়েছে, নতুন জীবন দিয়েছে সেনাবাহিনীর।

মেজর মহেববুল্লাহ সাদী সাংবাদিকদের বলেন, “বাকলাই পাড়া পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকাতে অবস্থিত। আমরা স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও সহায়তার এবং গোয়েন্দা নজরদারি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা মধ্যে রেশন, মেডিকেল সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণই নয়, আরও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজেও সাহায্য প্রদান করে যাচ্ছি।”

দীর্ঘ ২৩ মাস পর নিজেদের গ্রামে ফিরে এসে অসহায় পরিবার গুলোর জীবনে এক নতুন সূচনা উদ্মোচন হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here