নিজস্ব প্রতিবেদক।।থানচি।।
বান্দরবানে থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি থোয়াইহ্লামং মারমা কার্যালয়ে একক ক্ষমতা গত ৫ বছর যাবৎ লাল ফিতা বন্দি রেখেছে জাতীয়,আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের পাওনা টাকার বিল। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে সরেজমিনে গেলে পত্রিকা প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা বিজ্ঞাপনের বিলের ফাইল লাল ফিতা বন্দি করার কথা জানান যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলইজিডি) কার্যালয় হতে ২০১৮ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবি) এর গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের যাছাই বাছাইকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের দেশের মূলধারা প্রিন্ট পক্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেন জাতীয় একটি বাংলা,ইংরেজি,ও স্থানীয় ২ টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশনা আদেশ স্থানীয় প্রকৌশলী স্বাক্ষরের প্রেরন করানো হয়। গত ৫ বছরে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বিজ্ঞাপনের পাওনা টাকা সরকারীভাবে বরাদ্ধ থাকলে ও চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতায় লাল ফিতা বন্দি করে রেখেছেন বলে তথ্য নিয়ে জানা যায়।
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অফিস সহকারী মোহাম্মদ হাসান বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি রিতিমতো এডিবি,র বিজ্ঞাপনের সরকারী বরাদ্ধ থাকায় ফাই তৈরী করে একটি নোট আকারে আমাদের প্রকৌশলী ও ইউএনও স্বাক্ষর নিয়ে গত ফেব্রুয়ারী মাসের চলতি বছরে প্রায় দুই লাক্ষ টাকার উপরে নোট সিট উপজেলা চেয়ারম্যানের এ্যাসিস্টেন সনদ কান্তি দাশ নিকট জমা করি।সরকারী নিতিমালা অনুসারে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, প্রকৌশলী তিনজনের স্বাক্ষরে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট রয়েছে। চেক স্বাক্ষর ও তিন জনের। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের প্রেরিত নোটে অনুমোদন দিলে চেক ইসুই করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা বার বার চেকের কথা বললে আমি চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি পরে পরে বলেন।
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপজেলা প্রকৌশলী মো: এ্যামদাদুল হক বলেন, পত্রিকা বিজ্ঞাপনের বিল প্রদানের এডিবি বরাদ্ধের উপর তিন জনের স্বাক্ষরের বিধি বিধান রাখা হয়েছে । আমার একা পক্ষে সম্ভব নয়। আমি ও ইউএনও স্যার চলতি বছরে আজকের পত্রিকা, নতুন বাংলাদেশ, পূর্বকোন, দৈনিক বাংলাদেশ টুডে বিজ্ঞাপনের বিলের উপর অফিস নোটের স্বাক্ষর করে বিগত ফেব্রুয়ারী মাসের দিয়েছি। প্রতি বছর ন্যায় সাংবাদিকরা উপজেলা চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগ করে চেক নিতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন,বিগত বছর গুলি আমি জানিনা তবে আমি নতুন যোগদান করেছি চলতি বছরে পত্রিকা বিজ্ঞাপনের বিল নোটে উপর স্বাক্ষ করে দিয়েছি উপজেলা চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন তিনি।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থোয়াইহ্লামং মারমা ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়া পর থেকে মূল ধারা গণমাধ্যমে প্রতিনিধিরা তার দুর্নিতি অনিয়ম, প্রকল্প টাকা আত্নসাৎতে কথা অনুসন্ধানী মাধ্যমে তুলে ধরতে পারে তাদের সাথে কথা না বললে ঘৃনা করে থাকলে আর লেখতে পারবে না এমন মনোভাবে কথা তার নিজস্ব কর্মচারী ও দলীয় নেতা কর্মীদে গোপনীয় আরাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন। রেজিন্ট্রেশন বিহীণ অনলাইন ও অপলাইনের কিছু অমূল ধারা সাংবাদিক মাসিক বেতন দিয়ে রেখেছে তারা তার পিছনের কাজ করতে পারবে বলে জানান তারা।
যোগাযোগ করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের গেলে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস সহকারী প্রধান সনদ কান্তি দাশ দির্ঘ দিন ধরে অফিসের অনুপস্থিত থাকায় অফিসের পাওয়া যায় নি।মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে পত্রিকা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের বিল সমূহ চেয়ারম্যানের টেবিলের আমার কাছে নেই। চেয়ারম্যানের অফিসের প্রবেশ করতে চাইলে অফিসের থাকা কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,চেয়ারম্যান স্যার মন ভালো নেই এ মুজুর্থে ডিস্টাব করবেন না। মুঠো ফোন নংম্বার 01553645252 রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়ার সম্ভব হয় নি।