জেলা প্রতিনিধি।।বান্দরবান।।
বান্দরবানের সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতেই পাঁচটি বিদ্যালয়ে আজ থেকে পূণরায়ভাবে নিয়মিত পাঠদান শুরু হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ পুণরায় মুখরিত হয়ে উঠে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সকালে পাচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতন। তবে সীমান্তের কোন গোলাগুলি শোনা না গেলেও শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে এখনো কাটেনি আতঙ্ক।
এদিকে সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতির হওয়াই দীর্ঘ ২৭দিন পর বন্ধ থাকা -বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠির আরাকান আর্মি মধ্যে তীব্র সংঘাত হয়। এই সংঘাতের ফলে ওপার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও বিভিন্ন গুলোর খোসা এসে পড়ে। তাদের চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ রক্ষার্থে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি বাংলাদেশে প্রবেশ করে আশ্রয় নেন। তীব্র এই সংঘাতের জেড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্তবর্তী ওপার মর্টারশেল পড়ে দুজন নিহত হন আহত হয় অন্তত ১০ জন। এর ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার বসবাসরত সাধারণ মানুষ মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ও সীমান্তের নিরাপত্তার কারণে উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের গেল ৫ ফেব্রুয়ারী পাচঁটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন প্রশাসন।
ঘুমধুম ভাজাবনিয়া সরকারি শিক্ষক সাইদুর রহমান হীরা জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতেই আজ থেকে নিয়মিতভাবে পাঠদান শুরু হয়েছে। স্কুল খুলে দেওয়াতেই সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। আগের মতন প্রতিনিয়ত ক্লাসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক । সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম আজ থেকে পূণরায় শুরু হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্কুলগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম আজ থেকে পুনরায় শুরু করা হয়েছে। এই শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।