সাজেকে  চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি

0
61

বাঘাইছড়ি(রাঙ্গামাটি) উপজেলা।।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচলঙে পাঁচ সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনের হত্যাকারী ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচলঙে পাঁচ সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ। অবিলম্বে বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনের হত্যাকারী ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি। ছবি: রুমা বার্তা
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচলঙে পাঁচ সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ। অবিলম্বে বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনের হত্যাকারী ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি। ছবি: রুমা বার্তা

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি ২০২৪) দুপুরে বিপুল-সুনীলদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে ইউপিডএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ যৌথভাবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

বিপুলসহ চার ছাত্র-যুব নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে দুপুর ১২টায় মাচলঙ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মাচলঙ বাজার ও পর্যটনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পূনরায় মাচলঙ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সামাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা অর্থ সম্পাদক অনুপম চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপায়ন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন সাজেক থানা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমা চাকমা।

বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী কর্তৃক বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিন-এর হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় সংঘটিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

তারা ঘটনার এক মাস পরও খুনিদের গ্রেফতার না না করে তাদেরকে সেনা-প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রেখে জনপ্রতিনিধিদের হুমকি প্রদানের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বক্তারা ২০১৮ সালে মিঠূন চাকমাকে হত্যা, স্বনির্ভর বাজারে ৭ খুনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এসব ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার না হওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়ে পূনরায় পানছড়ি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এসব ঘটনার দায় সরকার-প্রশাসন কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না।

বক্তারা সরকার-সেনাবাহিনী ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের দিয়ে রক্তের হোলিখেলা খেলছে উল্লেখ করে বলেন, অবিলম্বে এই খুনি-সন্ত্রাসী বাহিনী ভেঙে দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় জনরোষ সৃষ্টি হলে তখন সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।

তারা এটাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, ঠ্যাঙাড়ে লেলিয়ে দিয়ে খুন, গুম, অপহরণ করে ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান ন্যায্য গণআন্দোলন দমন করা যাবে না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here