
বার্তা ডেক্স।।
আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে রুমাতে। এ কার্যক্রম চলবে ১৮ দিন ব্যাপী। ক্যাম্পেইনে জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। আর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় বান্দরবানে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল সভাকক্ষে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, রুমা থানা পরিদর্শক মো.জাফর ইকবাল,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ চিরান, প্রধান শিক্ষক মংমং মারমাসহ আরো অনেকে প্রমূখ।
এ সভায় ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা.হাসান আব্দুল্লাহ।
সভায় বলেন, ‘সারা দেশে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৮ দিনব্যাপী। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখে দিতে হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে। বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।’