বান্দরবান প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাব বান্দরবানেও শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বান্দরবানের বাতাসের সাথে ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রিমাল মোকাবেলায় পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা শহরের বনরুপা, লাঙ্গি পাড়া, কালাঘাটা,বালাঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ে পাদদেশে বসবাস করছেন অধিকাংশ মানুষ। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় কিংবা অতিবৃষ্টি প্রভাবে পাহাড় ধ্বসে প্রাণ হারাচ্ছেন। গত বছরের জেলা বান্দরবানে ভারী বন্যায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১০ জন। তার আগে ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত মানুষকে বার বার সড়িয়ে যেতে মাইকিং ও সতর্ক জারী করা হলেও তাতেও শোনেননি অধিকাংশ মানুষ। গত বছরের মত প্রাণ হারাতে না হয় তার আগে সরিয়ে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ভার্চুয়ালিভাবে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও স্বাস্থ্য বিভাগকে সর্বোচ্চ আগাম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবার জন্য সচেতনতা মূলক মাইকিং করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং জেলা তথ্য অফিসারকে নির্দেশন দেন জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিন।
প্রশাসন জানিয়েছে, রিমাল ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বান্দরবানের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে প্রশাসন। জেলার ৭ উপজেলায় ২শ ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ও ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক টিমের কুইক রেসপন্সসহ সাতটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা এবং মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে।
জেলা আবাহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য মতে, রিমাল ঘূর্ণিঝড়ের বান্দরবানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৬° সেলসিয়াস। এই ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য এলাকায় ভূমিধ্বসে সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বান্দরবানে টানা ১১ঘন্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
জেলা আবাহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন মন্ডল জানান, বান্দরবানে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে থেমে থেমে টানা ১১ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা ঝড়ো বাতাস বইবে।তবে পাহাড়ে যারা ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন সেখানে পাহাড় ধ্বসে আশঙ্কা রয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমরা মাঠে কাজ করছি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।