বান্দরবানে পাচঁ বছর শিশুকে অপহরণের দায়ে আসামীকে ১৪ বছরে সশ্রম কারাদণ্ড

0
25

 

।। বিশেষ প্রতিনিধি, বান্দরবান।।

বান্দরবানের পাঁচ বছরে শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আদালতে তোলা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এই রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- মোঃ শহিদুল্লাহ (৪৫), তিনি মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ধইলার পাড়া গ্রামে আব্দুল হকের ছেলে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বাসিং থুয়াই মারমা।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী মামলার ছেলে এপেন্ডিসাইটিস রোগের আক্রান্ত হওয়াই ২০১৭ সালে ৮ জুলাই তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে তাকে অপারেশন করানো পর পুরুষ ওয়ার্ডের ৪৩নং বেডে চিকিৎসা নিতে থাকেন। সেখানে ছেলের সাথে হাসপাতালে অবস্থান করেন বাবা -মা ও পাঁচ বছরের কন্যা শিশুটিসহ পুরো পরিবার। ১২ জুলাই রাতে হাসপাতালে সেই বেডের আশেপাশে শিশুটিকে অপহরণের জন্য ঘোরাফেরা করতে থাকেন অপহরণকারী মো. শহিদুল্লাহ (৪৫)। রাত বারোটার সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সেই বেড থেকে পাচঁ বছরের কন্যা শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুটির কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে থাকা লোকজন হাসপাতালে নিচতলা থেকে সে অপহরণকারী মো. শহিদুল্লাহ (৪৫) কে আটক করে। পরে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুরে বান্দরবানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসামীকে তোলা হলে সাক্ষ্য পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়াই অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বাসিং থুয়াই মারমা বলেন, আসামীকে আদালতে তোলা হলে সাক্ষ্য পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অপহরণকারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here