থানচিতে পানি বর্ষণের মধ্যদিয়ে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

0
33

রেমবো ত্রিপুরা।।থানচি।।

বাংলাদেশের বসবাসরত মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবকে “সাংগ্রাই” বলা হয়। সাংগ্রাই মারমাদের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী উৎসব। বান্দরবানের থানচিতে এই উৎসব মারমাদের নিজস্ব নিয়মের যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে থানচি বলিপাড়া ডাকছৈ পাড়া ঘাট সাঙ্গু নদী তীরে অবস্থিত রিলংপোয়ে পানি বর্ষণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হলো রিলংপোয়ে পানি বর্ষণ অনুষ্ঠান। সাংগ্রাই তিন দিনের উৎসব হলেও অনেক জায়গায় আয়োজকরা সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। উৎসবে মারমারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক মেয়েরা থামি ও ছেলেরা লুঙ্গি পড়ে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসে।

সাংগ্রাই উৎসব আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মারমা সমাজের যুব নেতা অংচনু মারমা বলেন, মৈত্রী পানি বর্ষনের গান গেয়ে দলে দলে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন শতশত তরুণ তরুণীরা। তরুণ তরুণীরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একে অপরকে পানি ছোড়াছুড়ি করতে থাকেন। এভাবে একদলের পর আরেকদল পানি ছোড়াছুড়ি খেলা খেলতে থাকেন। আনুষ্ঠানিক পানি বর্ষণ খেলা ছাড়াও পথে ঘাটে, পাড়ার মহল্লায় যাকে মন চায় সে তাঁকেই পানি ছিটিয়ে আনন্দ মেটে উঠেন। এতে আবার কেউ কোন আপত্তি করে না বরং এই সময়ে মৈত্রী পানি গায়ে লাগলে শুভ লক্ষন হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

মৈত্রী পানি বর্ষণ অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বাশৈচিং চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা পকশৈ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুমেপ্রু মারমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, বলিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাংগ্রাই উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি জিয়াঅং মারমা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি সপ্তাহব্যাপ্তী উদযাপিত হচ্ছে। উৎসবের উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবাইকে আন্তরিক ভাবে উৎসব পালন করা জন্য অনুরোধ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here