সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।।বিলাইছড়ি।।
রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় হাসপাতালের পাশে বসবাসরত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯:০০ টায় পরিদর্শনের সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সকলের সঙ্গে কথা বলেন, সান্ত্বনা দেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ক্ষয়ক্ষতি তালিকা নিরুপন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দ্দেশনা দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, আতুমং মার্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুকুমার চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহীদুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
যাদের ঘর একেবারে পুরে গেছে এমন ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচ পরিবার, আহ্নিক বা কিছু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন ৬ পরিবার বলে জানা গেছে। ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক ৭৫ লক্ষ টাকা। গতকাল সন্ধ্যায় ৬:০০ টায় বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত হলে সেনাবাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠন এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় দেড়ঘন্টায় আগুন নিভানো সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় ও সংশিষ্টরা জানান, উপজেলায় কোনো ফায়ায় সার্ভিস বা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রতিবছর পুড়ে যায় বাজার এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি। এর আগে পুড়ে গেছে কেংড়াছড়ি বাজার, বিলাইছড়ি বাজার, সম্প্রতি পুড়ে গেছে পাংখোয়া পাড়ার ঘরবাড়ি। উপজেলায় বিলাইছড়ি বাজার, কেংড়াছড়ি বাজার,ফারুয়া বাজার, ধূপ্যাচরএবং দীঘল ছড়ি এলাকা বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। উপজেলাটি দূর্গম হওয়ায় আগুন লাগার সাথে সাথে জেলা সদর হতে উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস পৌছাঁতে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা।ততক্ষণে পুঁড়ে আঙ্গার হয়ে যায়। তা-ই উপজেলায় অবশ্যই প্রয়োজন অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থ।