।।আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান।।
পাহাড়ের আদিবাসীদের যে নির্যাতন নিপীড়ন সেই বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। বিশেষ করে পার্বত্যঞ্চলে ভুমি বেখল, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়াসহ পাহাড়ে এক ধরনের যে সেনা শাসন সেটির জন্য পাহাড়ের মানুষ ক্ষিপ্তহীন। এমনকি আন্দোলনের অংশ হিসাবে পাহাড়ে আঁকা গ্রাফিতি মুছে দেওয়া এবং অঙ্কনে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই বলা যায় সমতলে স্বাধীন হলেও পাহাড়ের এখনো স্বাধীন হয়নি।
বুধবার (২১ আগষ্ট) বেলা দুপুরে শহরে প্রাণ কেন্দ্র মুক্তমঞ্চে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আদিবাসী ছাত্ররা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বাংলাদেশের আদিবাসী। আমাদের যে যার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংস্কৃতি রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাহাড় থেকে আদিবাসীরাও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল।পাহাড়ের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীর বিক্রম ইউকেচিং সেটি জলন্ত প্রমাণ। কিন্তু পাহাড়ের কু-চক্র মহল পাহাড়কে ধ্বস করার জন্য পায়তারা করছে। তাই পাহাড়ের কোন কিছু করার চক্রান্ত চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আদিবাসী ছাত্র সমাজ কঠোর আন্দোলন চলবে।
বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ে মানুষ সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিকতা রয়েছে। যে যার ধর্মের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালোবাসে। আমরা পাহাড়ের শান্তিতে বসবাস করতে চাই। সমতলের মতন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসীদের যে বৈষম্য রয়েছে সেটি আমরা মানি না। পাহাড়ের সন্ত্রাসী অভিযানে কেএনএফ নামে সাধারণ বম জাতিগোষ্ঠিদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া দাবি জানান। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে বেদখলকৃত সকল ভূমি ফিরিয়ে দেয়া, সেনা শাসন অচিরে প্রত্যাহার করার নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সমতলের শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে তাদের গ্রাফিতি আঁকতে পারলেও পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর বাধার পাশাপাশি বেশ কয়েটি স্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। থানচি, রুমা, আলীকদম ও সদরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে এই রকম অপব্যবহার আইন সেটি আদিবাসী ছাত্র সমাজ চাই নাহ। তাই এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি । তাই আদিবাসীদের অধিকার আদায় না হাওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও হুশিয়ারে দেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শহরে ছোট রাজার মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন শেষে রাজার মাঠ প্রাঙ্গনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজন করে আদিবাসী ছাত্র সমাজ। এসময় ব্যানার ও হাতে পেষ্টুন নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।