রুমায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ; চরম হতাশায় অভিভাবকদের

0
57

ডেক্স রিপোর্ট।। রুমা।।

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁওছে গেছে। মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, কয়েক মাস পরে এসে হাজিরা খাতায় সই করে চলে যান প্রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। তারপর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের তেমন কোন নেই পরিদর্শন ও তদন্ত। একই সাথে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনভাবেই নজর রাখছে না বলে এমনটাই বলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।

জুরবারং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতি, শ্রেণির পাঠদান ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাজেটসহ কোনটাই উন্নয়নের উৎস মিলেনি পাড়াবাসীদের চক্ষুতে। তাই আজ (৩ জুন) সোমবার সকালে জুরবারং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হ্লাচিংমং মার্মা, সহকারী শিক্ষিকা এমুইপ্রু মার্মা ও মালেকা বেগম’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয়ে পরিচালনার কমিটি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ওই বিদ্যালয়ের কর্মরত তিন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপসারণ চেয়ে আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, চাইরাগ্র পাড়ায় অবস্থিত জুরবারং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। কিন্তু তাদের কেউ মাসজুড়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। চাইরাগ্র পাড়াবাসীর অভিযোগ পুরো মাস জুড়ে বিদ্যালয় ফাঁকা পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে শিক্ষকদের দেখা মিললেও তারা শ্রেণির পাঠদান করেন না, তারা আসেন পুরো মাসের হাজিরা দিতে।

অভিভাবকেরা সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, শিক্ষকদের বার বার বিনয়ের সাথে শ্রেণি কার্যক্রমের বিষয়ে নিয়মিত পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা (শিক্ষকরা) কারোর কথা কর্ণপাত করেননি। উল্টো অনুরোধকারী অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের প্রভাব দেখিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন তারা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হ্লাচিংমং মার্মা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন ভাবেই নেটওয়ার্কে সংযোগ মিলেনি।

অভিযোগ আছে, প্রতি বছরের উন্নয়নমূলক কিছু বরাদ্দকৃত বাজেটগুলো বাস্তবায়ন না করে ভূয়া স্লিপ ভাউচার দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে একাধিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। দুর্গমতার অজুহাতে দেখিয়ে উপজেলার বেশির ভাগ প্রাথমিক শিক্ষক কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। উপজেলার সদর এলাকার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সবকটি বিদ্যালয়ের অনিয়মের ভরপুর।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা আশিষ চিরান এর সাথে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here