রাঙ্গামাটিতে জেএসএস-ইউপিডিএফ’র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামালো সেনাবাহিনী

0
45

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাঙ্গামাটি।।

রাঙামাটি শহরের রাজপথ দখল করাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি দুই আঞ্চলিক সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর পাল্টাপাল্টি হামলার নজিরবিহীন এই ঘটনায় পুরো রাঙামাটি শহরজুড়ে চরম উত্তপ্তময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ি এলাকায় চলা এই ঘটনায় বিবদমান জেএসএস-ইউপিডিএফ এর কয়েকশো নেতাকর্মীর সংঘর্ষ শুরুর প্রাক্কালেই সেনা বাহিনীর শতাধিক সদস্য এসে প্রথমে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্ঠা করলে তারা তাতে কর্ণপাত না করায় আধাঘন্টা পর উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সকল হত্যাকান্ডের বিচার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সকলদলের অর্ন্তভূক্তি নিশ্চিতকরা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে হাজারো পাহাড়ি যুবক-যুবতীকে নিয়ে রাঙামাটি শহরের রাজবাড়িতে সমাবেশ করার চেষ্ঠা চালায় প্রসিতপন্থী পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র মূল হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি শহরে প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ এর হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ মেনে নিতে পারেনি জেএসএস। পানি থেকে রাজবাড়ি স’মিল দিয়ে রাস্তায় উঠার সময় জেএসএস’র নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্ঠা চালালেও বিপুল সংখ্যক ইউপিডিএফ নেতাকর্মীর অগ্রসরে জেএসএস নেতাকর্মীরা পিছু হটে। এসময় ইউপিডিএফ’র লোকজন রাজপথে অবস্থান নিয়ে জেএসএস’র শতাধিক লোকজনকে ধাওয়া দেয়। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকশো সদস্য উভয় পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে উভয়পক্ষকে ঘন্টাব্যাপী নিভৃত করার চেষ্ঠা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এসময় জেএসএস সদস্যরা রাজবাড়ি কল্যাণপুরের দিকে এবং ইউপিডিএফের লোকজন রাজবাড়ি স’মিলের ভেতর দিয়ে বোটে উঠে কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে চলে যায়।

এদিকে, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারূফ আহাম্মেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আমরা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, জেএসএস’র কলিজা হলো রাঙামাটি শহর। এই শহরেই সন্তু লারমাসহ সংগঠনটির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বসবাস। সম্প্রতি রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদেও জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করায় তাদের আধিপত্য আরো বৃদ্ধি পায়। কোনো প্রকার আগাম খবর ছাড়াই প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ শতাধিক ইঞ্জিন বোট দিয়ে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে রাঙামাটি শহর দখল করতে আসায় হতবম্ব হয়ে যায় জেএসএস ও প্রশাসন। যেকোনো সময় সংগঠিত হয়ে আবারো জেএসএস’র দূর্গে হামলা চালাবে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপগুলো এমনটি জানা গেছে বিভিন্ন সূত্র।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মিথ্যাচার চালানোয় লিপ্ত পাহাড়ি এই সংগঠনগুলোর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া থেকে নিভৃত করেছে সেই সেনাবাহিনীর সদস্যরাই এমন মন্তব্য করে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ সময়মতো সেনাবাহিনী না আসলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here