
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংহতি এবং ভোটাধিকার বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দীঘিনালা উপজেলার সদর, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে “তৃণমূল-আস্থা প্রকল্প” কর্তৃক গঠিত আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ ও নাগরিক প্লাটফর্ম, দীঘিনালা এর আয়োজন এবং তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার কক্ষের ভেতরে বিভিন্ন প্রেরণামূলক পোস্টার দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল—“নির্বাচন ভোটাধিকার মুক্তপাক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক”, “টাকার বিনিময়ে ভোট দেওয়ার অর্থ দুর্নীতির বীজ বপন করা”, “ধনী-গরীব নির্বিশেষে থাকবো মোরা মিলেমিশে, এসো হাতে রাখি হাত”, “তরুণ সমাজ আসবেই, আসবে সোনালী প্রভাত”, “তারুণ্যের শক্তি, প্রান্তিক মানুষের মুক্তি”, “নারী কিংবা পুরুষ নয়, ভোটার আমার পরিচয়”।
আলোচনা সভার সূচনা হয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে। এর পর আলোচনার মূল প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে একটি নাট্য উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়, যা দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক বার্তা পৌঁছে দেয়।
সভায় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা-আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক ধনেশ্বর দেওয়ান সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাজহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ভোটাধিকার একমাত্র মানুষের মৌলিক অধিকার নয়, এটি গণতন্ত্রের শক্তি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। টাকার বিনিময়ে ভোটদান বা অসৎ প্রভাব জনগণের শাসনকে দুর্বল করে। আমাদের দায়িত্ব, বিশেষ করে তরুণ সমাজের দায়িত্ব—ভোটকে শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিজয় চাকমা এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চন্দনা চাকমা।
আলোচনা সভায় ফিল্ড অ্যাসোসিয়েট পপেন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ও আস্থা প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর তথ্যবহুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টিং অফিসার মিহির কান্তি ত্রিপুরা।
আলোচনা শেষে প্রথম ভোটার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোট প্রদানে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মক ভোটিং ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন আস্থা ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন ‘আস্থা’ প্রকল্পটি ২০২৩ সাল থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সকল ৯টি উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলায় ৩০ জনের একটি ‘আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ’ গঠন করা হয়েছে।