
সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে“মসলা উন্নয়ন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)” এর আওতায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উন্নত জাতের আদা চাষের উপর কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম রেজা’র সঞ্চালনায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান,আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ মীর্জা জহির উদ্দিন,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো,২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন,উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মীর কাশেম ছূট্রোসহ মাঠ সহায়তা কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম বলেন “মসলা উন্নয়ন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)” এর আওতায় অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসের মূল ফসল ছিল আদা। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় আদা চাষের সম্ভাবনা, আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং সঠিক কৃষি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। নদীর তীরে তামাক চাষের পরিবর্তে সবজি চাষ করা পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আদা আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা ফসল হলেও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম। বস্তায় চাষ পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় কম খরচে বেশি আদা উৎপাদন করা সম্ভব। তাই এ পদ্ধতির সম্প্রসারণে কৃষকদের আরও এগিয়ে আসা উচিত। সঠিক সময়ে জমি প্রস্তুতকরণ,রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আদা উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এতে শুধু কৃষকের আয়ই বাড়বে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষি কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। কৃষকরা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সমস্যা সমাধান ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ ধরনের উদ্যোগ কৃষকদের আরও উৎসাহিত করবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
