।।সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি।।
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলাধীন ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গামুড়া গ্রামের ফুলরত্য তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে এলোধন তঞ্চঙ্গ্যা। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত(সাত কলেজ) এ সমাজকর্ম বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। গত ৩০ সে সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি রেজাল্টে তার নাম দেখে খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়। কিন্তু সে আনন্দের মধ্যেও তার দুঃখের ছাপ নিহিত আছে। কারণ তাঁর বাবা একজন প্রান্তিক দরিদ্র কৃষক।বাবা প্রান্তিক দরিদ্র কৃষক হওয়ায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষার্থী এলোধন তঞ্চঙ্গ্যা সাথে। তিনি বলেন,গরীব কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করতে পারিনি।কোচিং পড়তে না পাড়ায় নিজে নিজে যতটুকু পারি বাড়িতে পড়ি এবং বড়ভাই ও বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সাত কলেজের ভর্তি প্রস্তুতি নিই। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করলে ও মেরিট লিস্টে কোন সাবজেক্ট না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু তারপর ও আশা ছাড়িনি। সর্বশেষ কোটা রেজাল্টে আমার সাবজেক্ট ও কলেজ আসায় আমি খুশি হয়েছি।খুশি হয়েছে আমার মা-বাবা। কিন্তু এ সফলতার মধ্যেও আর্থিক সংকটের কারণে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া, বই কেনা এমনকি এত ব্যয়বহুল ঢাকা শহরে গিয়ে পড়ালেখা করা আমার পক্ষে প্রায়ই অসম্ভব। তাই কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি বা মানবিক সংগঠন যদি আমারে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণে আমি একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো ।
তাঁর বাবা ফুলরত্য তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমার ছেলের সফলতায় আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে আমার ছেলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো কিনা জানিনা। আমার ছেলেকে কোন বিত্তবান ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা দিলে আমি ও খুবই উপকৃত হবো।
উল্লেখ্যে যে, এলোধন তঞ্চঙ্গ্যা এসএসসি পাশ করে বড়ইছড়ি নুরুলহুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং এইচএসসি পাশ করে কর্ণফুলী সরকারি কলেজ থেকে। তাঁর সফলতার কথা শুনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষ গর্ববোধ করেন।
আর্থিক সাহায্যের জন্য যোগাযোগঃ-বিকাশ/নগদ ০১৫৭৫৩৩২৭৭৩। যোগাযোগ করে সাহায্যের বাড়িয়ে দিলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে বলে তিনি মনে করেন।