বিশেষ প্রতিনিধি।।বান্দরবান।।
আমার স্বামী (ইউকেচিং বীর বিক্রম) দেশের জন্য লড়াই করেছেন। আজ তিনি আমাদের মাঝে নাই। আমাদের মাঝে না থাকলেও স্বামীর জন্য প্রতি বছর যারা আয়োজন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। আর আমি মরে গেলেও আমার স্বামী স্মৃতিস্তম্ভ টিকে রাখার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিং বীর বিক্রম সহধর্মিণী থুই সানু মারমা।
গত রবিবার (৫ মে) বিকালে পাঁচটায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিং বীর বিক্রমের ৯২তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
অনষ্ঠানে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট আয়োজনে ও বিষয়ক কনভেনিং কমিটি আহ্বায়ক সিংইয়ং ম্রো সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চাই সুই হ্লা চৌধুরী।
এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিং বীর বিক্রম স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বক্তৃতা, রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার অংশগ্রহনকারী ২৫ জনকে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
থুই সানু মারমা বলেন, আমি মরে গেলে ছেলে –মেয়ে ও নাতি নাতনীদের ভবিষ্যতে কি হবে এখনো জানি নাহ। বাড়িতে যা আছে সেটি নিয়ে টুকটাক সংসার চলছে। সরকারী একটা ঘর পেয়ে কোন মতে থাকতে পারছি তা না হলে ঝোপের বাড়িতে থাকতে হত। তাছাড়া নাতিরা কোন চাকরি পাচ্ছে নাহ। যদি চাকরি পেত তাহলে কোন মতে সংসার চলত। আর আমার স্বামী স্মৃতিস্তম্ভ তলে ও উপরে ধীরে ধীরে মাটি ভাঙন শুরু হয়েছে। সেটি ভেঙ্গে গেলে আমার স্বামী ও ভেঙ্গে যাবে। তাই সেটিকে রক্ষার করার জন্য সকলের প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চাই সুই হ্লা চৌধুরী বলেন, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমাদের গর্ব। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাছাড়া সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিংকে বীর বিক্রম হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। সেটি খুব প্রশংসীয়।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র দাশ, আবুল কাশেম চৌধুরী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটের পরিচালক মংনু চিং মারমা,প্রেসক্লাবে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।