তুফান চাকমা।।রাঙামাটি।।
রাঙামাটির নানিয়ারচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুরে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায়ই ৬/৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার সময়ে উপজেলার ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উচ্চ কেংগালছড়ি গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে সুপন চাকমার বসতঘরে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। এসময় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাৎক্ষণিক আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আগুন নিভানো আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎতের সর্টকার্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে দূর্ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্থ রিতা চাকমা প্রতিবেদককে জানান, সকালে আমি রান্না শেষ করে সবজি ক্ষেতে কাজ করতে বের হই। আমার স্বামীও নিত্যদিনের মতো সিএনজি চালাতে বেড়িয়ে পরে। ঘন্টাখানেক বাদে মানুষের চিৎকারে বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে পারিনি। মুহুর্তে আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে শরীরে পড়নের কাপড় ছাড়া বাড়ি থেকে কিছু রক্ষা করতে পারিনি। বিদুৎতের সর্টকার্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘতটে পারে বলে তিনি জানান।
সুপন চাকমা বলেন, সকালে সিএনজি দিয়ে বেড়িয়ে পরি আমি। কিছুক্ষণ বাদে ফোন আসে আমার বাড়িতে আগুন লেগে গেছে। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে এসে দেখি সবকিছু পুরে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই রক্ষা করতে পারলাম না৷ বাড়িতে জমানো ৪০ হাজার টাকা ছিল। আমার মেয়ের সঞ্চয় ব্যাংকে তার উপবৃত্তি টাকা এবং আমার দেওয়া টাকা সহ সবমিলিয়ে ১০ হাজারের মতো জমা ছিল। তা-ও শেষ হয়েগেছে। পুরো নিঃস্ব হয়ে গেলাম। সবমিলিয়ে প্রায়ই ৬/৭ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি। এমতাবস্থায় সরকারের কাছ থেকে মাথাগোঁজার মতো কিছু সহযোগিতা পাওয়ার প্রার্থনা করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
ঘটনার পরপরই কেঙ্গালছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এদিকে দূর্ঘটনার খবর জানাজানি হলে মহালছড়ি সিএনজি সমিতির নেতৃবৃন্ধদের নজরে আসে। তারা তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ৭০০০ টাকা সহায়তা প্রদান করেন।
ঘটনা সত্যটা নিশ্চিত করে ১নং সাবেক্ষং ইউপি চেয়ারম্যান সুপন চাকমা বলেন, সকালে ইউপি সদস্য আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। আমি জোন কমান্ডার স্যার এবং ইউএনও স্যারকে অবগত করি। আগামীকাল সুপন চাকমার বাড়িতে যাবো। আমার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র, হাড়ি-পাতিল, চাউল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র সহযোগিতা করা হবে।