সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গত ১ বছরে  ১৬ জনের বেশি বাংলাদেশীর পঙ্গুত্ব

0
5

সুজন ভট্টাচার্য্য।।বান্দরবান।।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার  সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থল মাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ হোসেন (৪০) নামের এক যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত হোসেন কক্সবাজার জেলার উখিয়া এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল  ১১টা ৪১ মিনিটের  দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমানা পিলার ৪১ ও ৪২ নম্বর  মাঝামাঝি নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে গত ১ বছরে মাইন বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জনের বেশি বাংলাদেশী নাগরিক স্হায়ী ভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

পরে স্হানীয়রা আহত মোহাম্মদ  হোসেন কে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্হানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,সীমান্তে বাঁশ কাটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত মায়ানমার- বাংলাদেশ নোম্যান্সল্যান্ডে পুঁতে রাখা স্থল মাইনে পা দিয়ে ফেললে,ভয়ংকর বিস্ফোরণে হোসেন এর বাম পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে য়ায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।

নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে এত মাইন বিস্ফোরণের নৈপত্যঃ

মিয়ানমার ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘের মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে সই করেনি।যে আইন সুস্পষ্টভাবে স্থলমাইন  তৈরি, ব্যবহার ও মজুত নিষিদ্ধ করে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা বেশি ঘটে। মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয়ই এই এলাকায় স্থল মাইন ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ১ বছরে (প্রায় জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫) মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে অন্তত ১ জন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত এবং ১৫ জনের বেশি আহত  হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই তাদের শরীরের অঙ্গ হারিয়ে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়েছেন।

উল্লেখ, এই সংখ্যাগুলো শুধু বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের  ঘটনাগুলির উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকার দুর্গমতা এবং অবৈধ কার্যকলাপের কারণে অনেক ঘটনা হয়তো সংবাদ মাধ্যমে আসেনি। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এবং বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয়ই এই এলাকায় স্থল মাইন ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য একটি বড় হুমকি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here