মোঃ মহিউদ্দিন।।বাঘাইছড়ি।।
পর্যটকদের বরণ করে নিতে আগেই পুরোপুরি প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন সাজেক কটেজ মালিকরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রায় থেকে দেড় মাস পর পর্যটনদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের অন্যতম পর্যটক স্পট বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালী।
গত ২০ সেপ্টেম্বর পাহাড়ের সংঘাত এবং নিরাপত্তার জনিত কারণে পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিরুৎসাহিতকরণের ফলে ভ্রমণপিপাসুরা সাজেকে যেতে পারেননি।
সাজেক পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এছাড়ার ১৪টির বেশি রেস্তোরাঁয় গত দেড় মাস ছিল না কোনো বেচা বিক্রি।
সাজেক চিলেকোঠা রেষ্টুরেন্টের মালিক নাছির উদ্দিন পিন্টু জানান, বাঘাইহাট এলাকায় সকাল ১১ টা পর্যন্ত ৬০-৭০ টি পর্যটকবাহী গাড়ী এবং বেশকিছু মোটরসাইকেল নিয়ে সাজেকে ঢুকতে দেখা গেছে।
সাজেকের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু লোকসান রিসোর্ট-কটেজ কিংবা রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়নি। পর্যটকদের বহনে জিপ চালক, হেলপারদের অলস সময় কাটাতে হয়েছে। সাজেকে স্থানীয় পাহাড়িরা তাদের বাগানে উৎপাদিত ফলমূল, বাঁশকোড়লসহ হাতে বানানো অনেককিছুই বিক্রি করে, তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ফলমূল পচে গিয়েছে। তারপরও বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ায় স্বস্তি এখানকার সকলের।
অন্যদিকে গত দেড় মাস ধরে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ করতে না পারায় ৮-৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ।
এদিকে গত ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে যে বিধি-নিষেধ ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাজেক রাঙামাটি জেলায় হলেও এর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে খাগড়াছড়ি জেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়, যেহেতু খাগড়াছড়িতে ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য বিধি-নিষেধ খুলে দেয়া হচ্ছে, তাই ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সাজেকে ভ্রমণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক যুবককে হত্যার পর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে এই দুই জেলায় চারজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।