আরাফাত হোসেন বেলাল।। লংগদু।।
রাঙামাটির লংগদুতে বড়দিন উপলক্ষে (বুধবার ২৫ ডিসেম্বর)শুভ বড় দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রীস্টান পল্লীগুলোতে এখন উৎসবের আমেজ। পাহাড়ি জনপদ রাঙ্গামাটির লংগদুতে খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষ্যে গীর্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় নানান রঙে সাজাঁনো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জা।
লংগদু উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া, ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের উপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারু কাজ।
এছাড়া গির্জায় গুলো তে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এ উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালিরাও। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে লংগদু উপজেলার ডানে আঠারকছড়া ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসবের সূচনা করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দিন মাহমুদ,লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌসের ওয়াহিদ,আঠারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা,লংগদুত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, আঠারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন (কমল) সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছে। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
লংগদু উপজেলায় ৬টি খ্রীস্টান পল্লী রয়েছে। গ্রামের মানুষ গীর্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
অন্যদিকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে লংগদুতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে লংগদু উপজেলা প্রশাসন ও লংগদু থানা পুলিশ। খ্রিষ্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌসের ওয়াহিদ।
পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। বড় দিনটি উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায়,ঈশ্বরের আশীর্বাদরূপে যিশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে।
এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছেন খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা।