লংগদুতে পঁচা গোস্ত বিক্রির অভিযোগ ব্যবসায়ীর মনির হোসেন’র বিরুদ্ধে 

0
33

আরাফাত হোসেন বেলাল।।লংগদু।।

রাঙ্গামাটি লংগদুতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত পঁচা গরুর গোস্ত বিক্রির অভিযোগ উঠেছে  গোস্ত বিক্রেতা মনির হোসেন (মনার) বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৩ জুলাই) পাহাড়ের সবচাইতে সুনামধন্য বড় বাজার মাইনীমুখ বাজারে এই ঘটনা ঘটে গোস্ত বিক্রেতা মনির হোসেন ( মনা) দোকানে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিনিয়ত এভাবেই চলে তার ব্যবসা।

গোস্ত ক্রেতা নুর আহাম্মদ জানায়, দুপুর ২টার সময় মনার গোস্তর দোকান থেকে সে ১কেজি গোস্ত ক্রয় করে নিয়ে বাসায় যাই। পরবর্বতীতে গোস্ত রান্না করতে গেলে গোস্ত থেকে পঁচা গন্ধ বের হলে সে গোস্ত নিয়ে মাইনীমুখ বাজারে চলে আসেন এবং স্থানীয় মাইনীমুখ ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যম কর্মীদের গোস্ত দেখাই। যা দেখে পঁচা গোস্ত প্রমাণিত হয়।

এবিষয়ে গোস্ত বিক্রেতা মনির হোসেন মনার কাছে জানতে চাইলে, প্রথমে এসব বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে স্থানীয়দের চাপে তিনি স্বীকার করেন বলেন ফ্রিজের গোস্ত বিক্রি করেছেন তিনি।  কিন্তু আপনি জানা সত্বেও ফ্রিজের পঁচা গোস্ত কেন বিক্রি করলেন? জানতে চাইলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তবে এই ধরণের কাজ আর করবেনা বলে সে ক্ষমা চায় প্রতিনিধির কাছে। বিষয়টি একবার নয় এর আগে আরো বেশ কয়রকবার করেছিলো।যার ফলে বাজার কমিটি তাকে সতর্ক করলেও এপথ ছাড়েনি সে। আপনি বস্তা ভরে গোস্ত গাড়ি দিয়ে কোথায় হতে নিয়ে আসেন?  জানতে চাইলে তিনি জানায়, আমি দীঘিনালা এবং খাগড়াছড়ি  থেকে মাথা সহ নাড়ি ভুঁড়ি গুলো নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করি। অথছো গোস্ত বিক্রি করতে হলে অবশ্যই তাকে সুস্থ গরু যবাই করে প্রমান সহ ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করতে হবে।

বজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, উক্ত ব্যবসায়ীকে এসব অনৈতিক কাজের জন্য আগেও বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তিনি রেগুলার গোস্ত বিক্রি করেনা হঠাৎ করে কোন জায়গা থেকে গোস্ত নিয়ে এসে দুই তিন ঘন্টার মধ্যে গোস্ত বিক্রি করে শেষ করে চলে যায়। এসব বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করুন আপনারা।

মাইনীমুখ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, এর এই ব্যসায়ীকে কয়েকবার নিষেধ করা হয়েছে। যেহুতু তার কোন পরিবর্তন হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, অবশ্যই বিষয়টি বড় ধরনের অপরাদ। উক্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা অনন্ত চাকমা বলেন, এই ধরনের কাজ খুবই মারাত্মক ও বড় ধরনের অপরাধ। আমরা শীঘ্রই উক্ত কসাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here