
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানে রুমা উপজেলার কেন্দ্রীয় বাস স্টেশনটি সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে জনসাধারণের যাতায়াত সুবিধার জন্য চালু করে। তবে বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি কাঠ ব্যবসায়ীদের নাগালে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাস স্টেশনের পাশে সেগুন গাছের কাঠের বড় বড় গাদা করে সেখানে স্টক করছে কিছু কাঠ ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, এসব কাঠ ট্রাকে উঠানো ও নামানোর কাজ চলছে স্টেশনের মাঝখানেই, যা যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২রা অক্টোবর) সকালে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে গিয়ে দেখা যায়, বাস স্টেশনের মূল চলাচলের পথটি ব্যবহার করে নিয়মিত কাঠ পরিবহনকারী ট্রাক যাতায়াত করছে, যার ফলে যাত্রী চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এলাকাবাসী জানান, “সরকার আমাদের রুমা উপজেলাবাসীর যাতায়াত সুবিধার কথা ভেবে কোটি টাকা খরচ করে এই বাস স্টেশন বানিয়েছেন। অথচ আজ সেই স্টেশনটি কাঠ ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত গুদামঘরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কাঠ লোড-আনলোডের জন্য ভারী যানবাহন যেভাবে স্টেশনের মেঝে ব্যবহার করছে, এতে অচিরেই স্টেশনটির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে।”
আরও অভিযোগ উঠে, কাঠ পরিবহনের কারণে স্টেশনের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং যাত্রী সাধারণের জন্য অনিরাপদ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই এই বাস স্টেশন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা বলেন, জনস্বার্থে নির্মিত স্থাপনাকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত এবং বাস স্টেশনের পরিবেশ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
রুমার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক পিপলু মারমা এর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আগে যে জায়গায় কাঠের স্তক ছিল সেখানে ভাড়া বেশি খুঁজে তাই বাস স্টেশন দিকে রাখতে হয়েছে। যিনি জায়গার মালিক ওনার থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছি।
জানা গেছে, যে জায়গায় কাঠের স্তক রাখা হয়েছে, জায়গার মালিক হলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা সাবেক বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম এর জায়গা।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বাস টার্মিনাল দিকে যে কাঠের স্তক রাখা হয়েছে তা আমি জানতাম না। আমি দেখে বিষয়টি দেখতেছি।