
ডেক্স রিপোর্ট।।
বান্দরবানে রুমা উপজেলার জনগণের ভোটের মূল্য কোথায়? এমন প্রশ্ন জাগেছে সাধারণ জনগণের। নির্বাচনে শত মাইল পথ পেরিয়ে রৌদ্রে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে আঁকাবাঁকা পথ হেঁটে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ফল আজ আমরা কি পেলাম? ভিজিডি চাউল পেতেও চেয়ারম্যানকে দিতে হচ্ছে টাকা। ১টাকা হোক বা ১শত টাকা হোক আমাদের এটি বিশাল কষ্টের টাকা। গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন কষ্টের কথা জানিয়েছেন ভিজিডি তালিকাভূক্ত সুবিধাভোগী জনগণ।
এ সূত্র ধরে রুমাবার্তা ডটকম এর একটি টিম ৪নং গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য পেলাম এমন সমস্যার কথা।
নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা বলেন, ২ মাসের ডিউ থাকা ৬০ কেজি করে চাল পেতে গালেঙ্গ্যা ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী মো. শিবুর কাছে ১শত টাকা করে জমা দিয়েছি। এ টাকা চেয়ারম্যান এর হাতে যাবে বলে জানিয়েছিলেন হিসাব সহকারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বকেয়া ৬মাসের ভিজিডি চাউলের মধ্যে ২মাসের চাল ৩শত ৩জনের কাছে ৬০ কেজি করে গতকাল (২৬জুন) সকালে বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে চাল ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আনতে সরকারি ভাবে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা আমরা যথাসময়ে পাইনা। যে কারনে খরচ বহন করার জন্য এ সুবিধা ভোগীদের কাছে থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। তাই আমার হিসাব সহকারীকে টাকা তুলতে বলেছিলাম।
সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান যে টাকা নিয়েছে সে বিষয়টি আমার কাছে অবগত নই, খবর নিয়ে দেখব এমন মন্তব্য মুঠোফোনে বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আদনান চৌধুরী।