
স্টাফ রিপোর্টার:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবানের রুমা বাজার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। রঙিন আলোকসজ্জা, কারুকার্যখচিত প্রতিমা, ও মণ্ডপের নান্দনিক সাজসজ্জায় এখন উৎসবের আমেজে মুখর পুরো এলাকা।
গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী তিথিতে ‘কল্পারম্ভ’,‘বিহিত পূজা’, ‘আমন্ত্রণ’ ও ‘অধিবাস’—এই চারটি ধাপের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার পূজা।
রবিবার সকাল থেকে শুরু হবে মূল পূজা কার্যক্রম। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ধর্মীয় কীর্তন,আরতী ও নৃত্যের মাধ্যমে তৈরি হবে এক ভক্তিময় পরিবেশ। সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসবের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রুমা জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আলমগীর হোসেন।
দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কঠোরভাবে। মন্দির এলাকা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি রয়েছে পুলিশ,আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের নিয়মিত টহল। পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পনলাল চক্রবর্তী জানান,দুর্গোৎসবকে প্রাণবন্ত ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রায় চার লক্ষ টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অর্থ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,রুমার দুর্গোৎসব শুধুমাত্র ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়,বরং এটি পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোরসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এটি এক বৃহৎ মিলনমেলায় রূপ নিচ্ছে।
আগামী ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে শেষ হবে এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পনলাল চক্রবর্তী।