সাইফুল ইসলাম।। রামগড়।।
ক্ষুদ্র মেরামত উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও গত ২১-২২,২৩ -২৪ অর্থবছরে দৃশ্যমান কোন মেরামতের কাজ হয়নি খাগড়াছড়ির রামগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।। স্লিপ বরাদ্দকৃত অর্থ প্রায় ৩ লাখ টাকা, ওই টাকা দিয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেনী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়, ওযাশ ব্লক এবং বিদ্যালয় সংস্কার কাজে ব্যয় করার কথা, অথচ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন কাগজ কলমে সব ঠিক রেখে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে ওইসব অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে স্কুল বার্থরুম ময়লায় নোংরা হয়ে আছে, সিলিং ফ্যান চলছে না বহুদিন ধরে। বিদ্যালয় ভবন সামনে রং করা হলেও পিছনে সাইডে করা হয়নি, মাঠের অবস্থাও নাজুক।এছাড়াও শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, পাঠদানে অনীহা সহ নানা অভিযোগও রয়েছে এ প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানালেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেন না বলে একাদিক সুত্রে জানা গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক জানান রামগড় মডেল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ে প্রতিবছর ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দ আসে কিন্তু আমাদের স্কুলে ২বছর ধরে কোন কাজ হয়নি।
আরেক শিক্ষক জানান গিয়াস উদ্দিন স্যার ছাত্রলীগ ক্যাডার কাউসার হাবিব শোভনের ফুফা হয়, তাই তিনি সব সময় দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সবাইকে হেনেস্থা করার চেষ্টা করতেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গিয়াসউদ্দিন বলেন আমি অসুস্থ্য থাকাতে কাজ করাতে পারিনি, বরাদ্দকৃত টাকার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান পঞ্চম শ্রেণী রুমে তিন বছর ধরে তিনটা সিলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে অনেকবার বলা হলেও প্রধান শিক্ষক তা আমলে নেননি। এছাড়াও স্মার্ট ক্লাসরুমের একটি ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে এক বছর যাবত।
এ প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান,প্রতি বছর মেরামত ও উন্নয়নকাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ স্কুলের কাজে ব্যায় না করে নিজ পকেটে ডুকানোর সুযোগ নেই, তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ে সরেজিমন গিয়ে সমস্যাগুলো দেখেশুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।