রাত গভীরে পাহাড় কেটে সাবার করছে আওয়ামিলীগ নেতা

0
12

আকাশ মারমা মংসিং।। বান্দরবান।।

  • রাত বারোটার পর স্কেভেটর দিয়ে চলে পাহাড় কাটা। 
  • এসবে জড়িত রয়েছে আওয়ামিলীগ নেতা টিটু বড়ুয়া ।
  • শিশু পরিবারের সরকারী শিক্ষিকা মেসিং প্রু মুলহোতা।
  • পাহাড় ধ্বসের আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বান্দরবানের পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত গভীর হলেই চলে পুরোদমে পাহাড় কাটা। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়। পৌর শহরে কালাঘাটা এলাকায় চলছে পাহাড় কাটা মহোৎসব। বিশাল টিলাকে সমান্তরালে পরিণত করতে পাহাড় কাটা কন্টাক্ট নিয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাহাড় খেকো টিটু বড়ুয়া ।

বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভা কালাঘাটা এলাকায় রাত গভীর নামলেই পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে শিশু পরিবার শিক্ষিকা মেসিং প্রু মারমা ও পাহাড় খেকো টিটু বড়ুয়া বিরুদ্ধে। এভাবে তিনদিন ধরে প্রতিরাতেই চলছে এক্সকেভেটর দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটা।

এলাকাবাসী অভিযোগ, গভীর রাতে শুরু হয় বিশাল পাহাড় কাটা। স্কেভেটর শব্দে ঘুম হারাম হয়ে যায় আশেপাশে বসতঘরের মানুষ। তাছাড়া প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে এসব অবৈধ কাজ। একজন সরকারি শিক্ষিকা কিভাবে এমন অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত হয় সে ব্যাপারে হতবাক স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরে কালাঘাটা এলাকায় শিশু পরিবার গাঁ ঘেষে বিশাল একটি পাহাড়। সেখানে রাত গভীর হলে ছোট স্কেভেটর সাহায্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়। প্রতিদিন রাত বারোটার পর ভোর পর্যন্ত পাহাড় কাটা চলে। মাটি সরবরাহ জন্য তৈরী করা হয়েছে সড়কও। এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত রয়েছে শিশু পরিবারে সরকারী শিক্ষিকা ও আওয়ামীলীগের নেতা।

এদিকে কালাঘাটা পৌরশহর মুলত পাহাড় ধ্বসের প্রবণ এলাকা। সেখানে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে ঘটনাটি হয়। এতে প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। তাছাড়া সেখানে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এই পাহাড় কাটার ফলে আশেপাশে বসতঘর পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ ও নুরু নাহার বলেন, প্রতিদিন রাত বারোটা পর পাহাড় কাটা চলে। স্কেভেটর শব্দে আশেপাশে মানুষজন ঘুমাতে পারি না । তাছাড়া এই টিলা কাটলে পাহাড় ধ্বসে সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের প্রতি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের নেতা ও স্কেভেটর মালিক টিটু বড়ুয়া স্বীকার করে বলেন, ছোট স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা কন্টাক্ট নিয়েছি। পরিবেশে অধিদপ্তর থেকে শিক্ষিকা ও আমি কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে পাহাড় কাটাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here