রাজেরুং ত্রিপুরাকে ধর্ষনের পর হত্যার প্রতিবাদে থানচিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

0
42

নিজস্ব প্রতিবেদক।।থানচি।।

পবিত্র ঈদুল ফিতর বাবা মায়ের সাথে ছুটিতে আসার কথা থাকলে ও ফিড়ে আসলেন লাঁশ হয়ে।যশোর জেলায় কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ মিশনের  রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) ৯ম শ্রেণী শিক্ষার্থী। পরিবারে পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রাজেরুং ত্রিপরা। পরিবারে অসচ্ছলতা কারণে তাকে মিশনে পড়িয়েছে বাবা মা।  গত শুক্রবার তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন মিশনের প্রধান খ্রিষ্টিফা সরকার। এর প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন “ত্রিপুরা সচেতন”সমাজ।

রবিবার(২৩ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা তিন রাস্তার মোড়ে জড়ো হতে থাকে উপজেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ি প্রতিনিধি শিক্ষার্থী ও সচেতন সমাজ । সেখান থেকে হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘থানচি ত্রিপুরা সচেতন সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে তিন রাস্তার মোড় সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করেন।

জানাযায়, রাজেরুং ত্রিপুরা থানচি উপজেলা ১নং রেমাক্রী ইউনিয়নের কালু পাড়া রমেশ ত্রিপুরা মেয়ে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রাজেরুং।যশোর জেলা কেশবপুর উপজেলা পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ মিশন ৯ম শ্রেণীতে পড়তেন। গত শুক্রবার মিশনের ফাদার ও পরিচালকরা ধর্ষণের করে তাকে হত্যা করা হয়।

ত্রিপুরা, মারমা,ম্রো ও খুমী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বক্তারা বলেন,আমাদের আদিবাসী নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের অব্যাহত নীপিড়ন ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে আজকের আমরা সকলের সমবেত হয়েছি। কেশবপুরে আমাদের বোন রাজেরুং ত্রিপুরা ঈদের ছুটিতে বাবা মায়ের সাথে সময় কাটানো কথা,কিন্তু সে ফিরে আসলো লাঁশ হয়ে।

তারা বলেন, আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই যারা রাজেরুংকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। কেশবপুরে মিশনটি কোন খ্রিষ্টিয়ান মিশন নয়,বরং কিছু ডোনারদের অর্থ দিয়ে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গরীব ও অসহায় মেয়েদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়। ২০০৯ সালেরও প্রতিষ্ঠানটি নামে এমন ধর্ষণ ঘটনা শুনেছি। কিন্তু ধর্ষকরা আইনের চোখের আড়াল হয়ে যায়। যারা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারে প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, ছাত্রদের গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের আমাদের মা বোনদের কোন নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারেনি। সারাদেশের ধর্ষণের পর হত্যার মত ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি তারপরও ধর্ষকরা আড়ালে থেকে যায়।

সমাবেশে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি ও ৩৭০ নং মদুকছড়া মৌজা হেডম্যান সিমন ত্রিপুরা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অন্দ্রিজয় ত্রিপুরা, এনি ত্রিপুরা,ক্যহাইসিং মারমা,শিক্ষক লিটন ত্রিপুরা ও মুক্ত ত্রিপুরাসহ অনেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here