।।আকাশ মারমা মংসিং বান্দরবান।।
বান্দরবান জেলা শাখা ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান ও তার দুই পুলিশ সদস্যে বিরুদ্ধে শতাধিক পুলিশ সদস্যদের হয়রানি,নির্যাতন, সিন্ডিকেট ও বেতন বকেয়া রাখার অভিযোগ করেছে বৈষম্যে বিরোধী আর্মড পুলিশের সদস্যরা। সরকার থাকা কালীন সুযোগ সুবিধা হাসিলে পাশাপাশি স্ব- ইচ্ছায় বদলি ও বিভিন্ন অর্থ আত্মসাত ও ভয়ভীতি দেখানো অভিযোগ আছে এই ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান বিরুদ্ধে।
পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ,আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন। পুলিশ সদস্যদের নায্য রেশনের অর্থ কম পাঠানো পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের নিম্নমানের খাবার ও ইচ্ছে মতন বদলী করাতেন। এছাড়াও কালো টাকাকে সাদা টাকা তৈরীসহ সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হাসিল করে অনান্য পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত ডিউটি পালন করা বাধ্য করার অভিযোগ করেন বৈষম্যে বিরোধী আর্মড পুলিশ।
জানা গেছে,বান্দরবানে জেলা পরিষদ সংলগ্ন শাখা ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কার্যালয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা রয়েছে শতাধিক। তাদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থা সব ম্যাচের। সেখানেও রয়েছে আর্মড পুলিশের দুই এএসআই সিন্ডিকেট। তারা হলেন- সশস্ত্র শাখা মোঃ ফারুক মন্ডল ও মোঃ হাবিবুর রহমান। অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান নির্দেশে ম্যাচের খাবার থেকে শুরু বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘ বছর ধরে। দুই পুলিশ সদস্য বিভিন্ন বেড়াজালে রাখায় আটকে আছে আরো শতাধিক অনান্য পুলিশ সদস্যরা। সব থেকে মুক্তি পেতে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী বৈষম্যে বিরোধী আর্মড পুলিশ সদস্যদের।
বৈষম্যে বিরোধী আর্মড পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বহু পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আর আর্মড পুলিশের ওতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান আগেই পালিয়ে গেছেন। বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কোনো পুলিশ সদস্য ডিউটি করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। নিরাপত্তা বিষয়ে ১১ দফা দাবী পেশ করা হলেও সেটি কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না আমর্ড পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। যার ফলে সেসব বান্দরাবানসহ সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এছাড়াও দীর্ঘ বছর ধরে পুলিশ সদস্যদের জিম্মি করে রাখা, নির্যাতন, অর্থ আত্মসাৎত ও নিয়মিত বেতনসহ নাযমূল্যে রেশম না দেওয়ার অভিযোগ করেন বৈষম্যে বিরোধী আর্মড পুলিশ সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা পরিষদে ২ আর্মড পুলিশ কার্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শতাধিক পুলিশ সদস্যরা। ব্যনার নিয়ে ও ভূয়া ভূয়া স্লোগানে সমাবেশ কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় কার্যালয় ঘেরাও করে “আওয়ামীলীগ দালালরা হুশিয়ার সাবধান’ হইরই বিসিএসরা গেলি কই” স্লোগান করতে থাকেন বৈষম্যেবিরোধী পুলিশ সদস্যরা। পরে তারা ১১ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হওয়ার পর্যন্ত কর্মস্থল না যাওয়ার অব্যহতি দেন। এসময় আমর্ড পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও দুই পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনাও দাবী জানান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ বলেন, ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি নাহ। এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে গেলে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। আর রেশনের নায্য টাকা না দিয়ে কম পাঠিয়ে দেয়, খাবার দেয় নিম্নমানের। শুধু তাই নয় এই তিন সিন্ডিকেট মাধ্যমে বান্দরবানে এপিবিএম কার্যালয়ের অর্থ আতসাৎতের পাশাপাশি বদলী, হয়রানী করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। সেসব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবী জানান।
এ বিষয়ে ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান বলেন, আমাদের মূল হেড অফিস ময়মনসিংহ মুক্তগাছায়। পাহাড়ের সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ অভিযানে কারণে হেড অফিস থেকে পাঁচ শতাধিক এপিবিএম সদস্য আনা হয়েছে। সমতল থেকে পাহাড়ের ডিউটি করতে হচ্ছে বলে এসব অভিযোগ করছে। আর তাদের যে ১১টি দাবি সেই বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রেশন ও নিম্ন মানের খাবার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খান বলেন, বর্তমান উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি কারণে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে নাহ। তাই সাময়িক সময়ের জন্য ব্যাঘাত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ঠিক হওয়ার দাবি করেন তিনি।