বান্দরবান, রুমা ও থানচি থেকে রিপোর্ট
বান্দরবানের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলা ও অপহণের ঘটনায় এখনো রুমা ও থানচি দুই উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই উপজেলার জনমনে আতঙ্ক এখনো শুধু কেএনএফ। এছাড়াও সকাল থেকে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার গতকাল রাত আটটার দিকে রুমা শতাধিক কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সন্ত্রাসীরা উপজেলার পরিষদ, মসজিদ ও ব্যাংকসহ পুরো এলাকার ঘেরাও করে সোনালী ব্যাংকে দুধর্ষ লুটপাট চালায়। ব্যাংকের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালালে ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে পালিয়ে যান সসন্ত্রাসীরা।
এদিকে লুটপাটকে কেন্দ্র করে থানচি থানায় লক্ষ্যে করে গুলি ছুড়েন কেএনএফ। এরপর কয়েক ঘন্টায় চলে গোলাগুলি। একই রাতে আলীকদমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ চৌকিতে আক্রমন চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে আতঙ্ক। বান্বদরবান ও রুমা বন্ধ রয়েছে দোকান পাট ও যানবাহন। ভয়ে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন নাহ।
দুই উপজেলার বাজার সমিতির সদস্যরা জানান, বাজার এলাকা জনগণের উপস্থিতি অনেকাংশে কম থাকায় অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে রুমার অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কোথাও থেকে গোলার শব্দ শোনা যায় নি।
রুমা বাজার ব্যবসায়ী, সাধারণ সম্পাদক ও বাস মালিক সমিতির লাইনম্যানের৷ ও থানচি বাজার কমিটি সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীন সিকদারের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া যায়।
থানচি বাজার কমিটি সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীন সিকদার জানান, গোলাগুলি ঘটনার পর অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন নাহ। কোন সময় কি হয় এই নিয়ে জনমনে ভয় এখনো কাটে উঠেনি।
রুমা বাজারের ব্যবসায়ী আবু সিদ্দিক জানান, রুমায় ব্যাংক হামলার ঘটনায় আতঙ্কে বাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
গাড়ি মালিক সমিতির লাইনম্যান মো.জাকির জানান, সকাল থেকে বান্দরবান-রুমায় গণপরিবহন চলাচল করলেও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।