আকাশ মারমা মংসিং।। বান্দরবান।।
কোন ধরনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি বাংলাদেশের মুল ভূখণ্ডের ভেতরে এ ধরনের অন্যায় ও কর্মকান্ড করতে দিব না। সন্ত্রাসীরা যে কাজটি করেছে তাদের জানান দেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা জঘন্য অপরাধ করেছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রাষ্ট্র এটির বিরুদ্ধে চুপ থাকতে পারে না। কাজেই আমাদের যা যা করণীয় আমরা সেটি করে যাব। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে এই অঞ্চলে র্যাব, পুলিশ, আনসার বিজিবিসহ সকল ধরনের শৃঙ্খলা বাহিনী বৃদ্ধি করা হবে এবং পরবর্তীতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের সার্কিট হাউসের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এর আগে রুমা সেনাবাহিনী গেরিসনের ১১টার দিকে হেলিকপ্টার অবতরণ করেন। পরে উপজেলার পরিষদ, আনসার ব্যারেক, সোনালী ব্যাংক ও উপজেলার মসজিদ পরিদর্শন করেন। পরে বান্দরবানের সার্কিট হাউসের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অংশ নেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সন্ত্রাসীরা আলোচনায় না গিয়ে তাদের অবস্থান জানাম দেওয়ার জন্য ও নিজস্ব স্বার্থসেদ্ধি জন্য তারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাছাড়া নতুন গজিয়ে এই সন্ত্রাসীরা মূল জনগণের এক শতাংশ নয়। তাদের যে অন্যায় ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং যে অস্ত্র মহড়া দেওয়া এটা আর সহ্য করা হবে না, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এই এলাকায় শান্তি শান্তি বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন করা হবে সেটি করা হবে। কেউ যদি উদ্দেশ্য করে অন্যায় করতে চায় তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে নাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় এখানে নাকি শান্তির সুবাতাস সব সময় বৈধ। এখানে অশান্তি হোক তা আমরা চাই না। এই তান্ডব লীলা যারা করেছে তাদের পেছনে সহযোগিতায় কে ছিল সেই ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর যারা রয়েছে তারা তাদের মত করে করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন জিনিসকে আমরা আন চেলেঞ্জড যেতে দেব না। এদের উৎস কোথায় কিভাবে তারা উগ্রহ হচ্ছে সেটজ আমরা বের করব। তবে কারো গাফিলতি আছে কিনা এবং কোন জায়গায় থাকে ব্যর্থ হয়েছে আমরা আগে দেখব তারপরে আইনি সিদ্ধান্ত নিব।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং, প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।