
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে তিনটা থেকে টানা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টির পর ভোর থেকে চেঙ্গী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। এতে জেলা সদরের শান্তিনগর, শব্দমিয়া পাড়া, মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, মধুবাজার রাজবাড়ি, খবংপুড়িয়া, গোলাবাড়ি, খামারপাড়া সহ একাধিক এলাকা তলিয়ে যায়। একইভাবে পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়।
অবিরাম পানিবৃদ্ধির ফলে ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধান, সবজির ক্ষেত ও বহু মৎস্য খামার। আকস্মিক বন্যায় বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থীরা সকাল সকাল স্কুল-কলেজে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ ছাড়া পানি নেমে গেলেও নিরাপদ পানির সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চ স্থানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
তবে দুপুরের পর থেকে পানি নামতে শুরু করলেও অনেক ঘরবাড়ি এখনও পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।