নিজস্ব প্রতিবেদক।।থানচি।।
বান্দরবানে থানচিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস যথাযথ মর্যাদা পালিত হয়েছে। আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে আদিবাসীদের নতুন সরকারের প্রতি বিভিন্ন দাবী রেখে ব্যানার ফেস্টুন লিফলেট সম্বলিত লেখা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ থানচির মুক্ত মঞ্চের জরো হয়ে ০৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৯ টা এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদর্ক্ষিন করেন। প্রদর্ক্ষিন শেষে বাস স্টেশন মুক্ত মঞ্চে পথ সভা ও সমাবেশ করেন। সমাবেশ বক্তারা বলেন।
শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকারে গত ২০১৫ সাল হতে আদিবাসী দিবস পালন করতে বাঁধা দেয়া দির্ঘ ০৯ বছর জুলুম গুম খুন ও নির্যাতনে কারণে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করার সম্ভব হয়নি । বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরে দেশের নতুন করে বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে বলে মনে করেন সচেতন ছাত্র ও তরুন সমাজ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে বিজিবি কঠোর নিরাপক্তায় ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে পথ সভা ও সমাবেশে তরুণ আদিবাসী ছাত্র সমাজের আহবায়ক ডা: মংসিংশৈ মারমা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা ( পকশৈ), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোয়াংচিং মারমা অনুপম,সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান বকুলী মারমা, যুব নেতা নুমংপ্রু মারমা,মংচিংসা মারমা, রেমাক্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনাডিক্ট ত্রিপুরা,জন ত্রিপুরা ও অন্তর খিয়াংসহ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন পাড়া থেকে ছাত্র সমাজ ও সচেতন সমাজের ব্যক্তিবর্গরা একযোগে সমাবেশের উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত বক্তারা আর ও বলেন,বর্তমানে আন্তবর্তীকালীন সরকারে ১৭ জন উপদেষ্টাকে স্বাগতম ও ধন্যবাদ জানাই। তাছারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতিও শোক সমাবেদনা জানাচ্ছি। বর্তমানে যারা দেশ গঠনের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন আশাকরি সবাই পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের অধিকার হারা শোষণ নিপিড়ন ও বঞ্চিত পার্বত্যবাসীদের বিষয়ের ধারণা আছেন। আমাদের সমাবেশ থেকে দাবি জানাচ্ছি অচিরে আমাদের পার্বত্য সমস্যা কথাগুলো ও দেখবেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করে এবং ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০টি দেশে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করে আসছে। প্রতি বছর ৯ আগস্ট আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হলেও বাংলাদেশে ২০০৪ থেকে পালিত হয়ে আসছে। মূলত, ২০০১ সালে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম গঠিত হবার পরে বেসরকারীভাবে বৃহৎকারে আর্ন্তজাতিক দিবসটি পালিত হচ্ছে।