
স্টাফ রিপোর্টার:
সংস্কারের অভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বেথেল পাড়া হতে মুননোয়াম পাড়ার রোডে নির্মাণকৃত কার্পেটিং সড়কে দেখা দিয়েছে বেহাল দশা। এতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয়দের দাবি অতিদ্রুত সংস্কার। এটি বান্দরবানে রুমা উপজেলার দ্বিতীয় প্রধান সড়ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
সরেজমিন গণনা সূত্রে জানা গেছে, এ সড়ক দিয়ে প্রায় ৩০টির বেশি গ্রামের মানুষেরা চলাচলের একমাত্র পথ। রাস্তার দু’ পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, নানান ফলের বাগান, কৃষি জাতীয় নানা পণ্য বিক্রি করতে যেতে প্রায় ৭কিলো রাস্তা পায়ে হেঁটে পারি দিতে হয় রুমা বাজারে। তবে গত কয়েক বছরের রাস্তা নির্মাণ হওয়াতে কিছুটা সুবিধা পেয়েছে সাধারন জনগণ। তবে এ বর্ষা মৌসুমে ভেঙে গেছে এলজিইডি নির্মাণকৃত সড়কটি। ব্যাহত হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন কাজে।
জানা গেছে, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বেথেল পাড়া মিনঝিড়ি পাড়া,ক্যলুংক্ষং পাড়া, চাইরাগ্র পাড়া, সালেম পাড়া, জ্ঞানলাল পাড়া, এদেন পাড়া, রামদু পাড়া, নিয়াংক্ষং পাড়াসহ আরো অনেক পাড়া রয়েছে।
এলাকাবাসীরা দাবি জানান, আমরা এ রাস্তা দিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার হাঁটি। হাটবাজার হলে আমাদের গাড়ি দিয়ে যেতে কষ্ট হয়, পাশাপাশি এ রাস্তা সংস্কার হলে দুর্ঘটনা থেকে একটু হলেও মুক্তি পাবো। সংস্কারের অভাবে কার্পেটিং সড়কটি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, যার ফলে রাস্তাটি প্রায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রুমা বেথেল পাড়া থেকে মুনোয়াম পাড়া পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে গর্তগুলোর কারনে যানবাহন চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পৌঁহাতে হচ্ছে। কিন্তু সড়কের করুণ অবস্থার কারণে তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, যা ব্যবসায়িক ও কৃষকের জন্য ক্ষতিসাধন হচ্ছে।
সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাহাড়ের ফল ফসলাদি ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা জন্য রুমা বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এখানে পণ্য কেনাবেচার জন্য আসেন। কিন্তু সড়কের করুণ অবস্থার কারণে তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, যা ব্যবসায়িক ও কৃষকের জন্য ক্ষতিসাধন হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডি ১২কোটি টাকা বাস্তবায়নের নির্মাণ কাজটি ইমন হাসান কন্ট্রাকশন নামে সড়কটি নির্মাণ করেছিল। জানা গেছে, পুনরায় রাস্তা সংস্কারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী শ্রীঃবিদ্যুচরন ধর বলেন, আমরা এলাকায় সাথে চিন্তা করে উপরে সংস্কারের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি অফিসে আদেশ না আসলে আমারা করা কিছু নেই।