কোমলহাতে রং-তুলিতে নতুন পাহাড়ের প্রতিবাদী স্বপ্ন আঁকছে বিলাইছড়ির শিক্ষার্থীরা

0
40

।।সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি।।

রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা রংতুলির আঁচরে পাহাড়ের প্রতিবাদী স্বপ্ন সাজিয়ে দিচ্ছে দেয়াল।

বিলাইছড়ি পল্টন ঘাট এলাকা এবং উপজেলা বাসভবন দেয়ালসহ বিভিন্ন এলাকার দেয়াল প্রাচীরের দিকে একবার তাকালে আর দ্বিতীয়বার ফিরে তাকাতেন না পথচারীরা। কারণ আস্তর খসে পড়া প্রাচীরে ছিল বিভিন্ন দলের জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের পোস্টার। তবে এখন এর চেহারা বদলে গেছে। পথচারীরা দাঁড়িয়ে তুলছেন ছবিও। কারণ দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ভরে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব গ্রাফিতিতে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আঁকা এসব দেয়ালচিত্রে মুগ্ধ সবাই।তারা লিখেছেন আমার ভূমি আমার মা, কেড়ে নিতে দিব না।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে এবং এর আগের দিন সোমবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা শুরু করেছে এ সব ছবি। স্থান পেয়েছে কোটা আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ছাড়াও তুলে ধরা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র। দেয়ালচিত্রে স্থান পেয়েছেন কল্পনা চাকমাও। কোথাও আবার ফুটে উঠেছে মাচাং ঘরসহ পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। দেয়ালজুড়ে এসব চিত্রকর্মে নতুন কিছুর আহ্বান। তরুণদের নতুন করে দেশ গড়ার স্বপ্ন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজার ঘাট এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে এক মনে ছবি আঁকা চলছে শিক্ষার্থীদের। আঁকার ধরন দেখে বোঝা যায় আঁকা-আঁকিতে তেমন প্রশিক্ষিত না হলেও হাতের অঙ্কনেই ফুটে উঠেছে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। চলার পথে হাটতে হাটতে মোবাইলে ভিডিও করছেন অনেকে, কেউ তুলছেন ছবি।

দেয়ালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার, কল্পনা চাকমার চেহারা ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলল, আন্দোলনটি সফল হওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমরা রাস্তা পরিষ্কার, ট্রাফিকের কাজ ও দেয়াল লেখনীতেই থামব না। আমরা চাই আগামী প্রজন্মের একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ। তাই দেশ সংস্কারেও আমরা প্রত্যয়ই।শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ একটি নতুন দেশে রুপান্তর হয়েছে। আমরা পাহারে বৈষম্য দুর করতে চাই। আর যেন পাহাড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়। সকলে মিলে এ দেশটা কে একটি সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।

তারা আর চাইনা প্রতিহিংসার রাজনীতি, চাইনা হিংসা বিদ্বেষ। চাই সকলের সমান অধিকার। বাধা আসলে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার। দিতে হবে সকল সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার এবং পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন । দিতে হবে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং আর যেন উদ্ভব না ঘটে স্বৈরাশাসন সে দিকে খেয়াল রাখা,তারা আরও জানিয়ে দিলো পাহাড়ে আর অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন চলবে না। রাজনৈতিক দলদের এবার বুঝা দরকার রাজনীতি কাকে বলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here