খেলার ডেক্স।।
আর্জেন্টাইনদের কাছে দি মারিয়া এক আবেগের নাম, যাঁর ভক্ত এমনকি লিওনেল মেসিও। কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগেই আর্জেন্টিনা অধিনায়কই তাঁর সতীর্থদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি দি মারিয়ার কত বড় ভক্ত। ম্যাচের আগে সতীর্থদের সামনে ছোট্ট যে বক্তব্যটি তিনি দিয়েছিলেন, সেখানে বলেছিলেন—আর কিছু নয়, শুধু দি মারিয়ার জন্যই আমরা এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠতে চাই।
অধিনায়ক ও দীর্ঘদিনের সতীর্থের এই বক্তব্যে আবেগপ্রবণ দি মারিয়ার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়েছে পানি। যে পানিতেই আবার শুচি হতে শুরু করে আর্জেন্টিনার ফুটবল। কীভাবে? ১৯৯৩ সালের পর শুরু হওয়া আর্জেন্টিনার শিরোপা-খরা কাটছিল না কোনো প্রার্থনাতেই। সেই খরাই তিনি ২০২১ দূর করেন ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানায় চোখের কয়েক ফোঁটা পানিতে। ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই ফাইনালে ২২ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে জেতানো ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন দি মারিয়া। তারপর কেঁদেছিলেন আবেগে।
এরপর ২০২২ সালের লা ফিনালিসিমা। ইউরোপ-সেরা আর দক্ষিণ আমেরিকার সেরা দলের লড়াই। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ৩ গোলের একটি দি মারিয়ার। সেদিনও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের গোলটির পর কেঁদেছিলেন দি মারিয়া। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালেও আর্জেন্টাইনরা তাকিয়ে ছিল দি মারিয়ার ফাইনাল-ভাগ্যের দিকে! কাতারের লুইসাইল স্টেডিয়ামে দি মারিয়াও হতাশ করেননি। ২৩ মিনিটে মেসির পেনাল্টি গোলের পর ফাইনালে গোল করার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দি মারিয়া আর্জেন্টিনার স্কোরলাইন ২-০ করেন ৩৬ মিনিটে। এ গোলের পরও যথারীতি দি মারিয়ার চোখে জল! হয়তো সে জলেই শুচি হলো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ-ভাগ্য, ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ সমতায় থাকার পর তারা বিশ্বকাপ জিতল ফান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে।