
ডেক্স রিপোর্ট:
মানুষের নিরাপত্তা, বন ও প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর উপস্থিতি পাহাড়ের মানুষের মাঝে আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে উঠেছে। বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি গ্রামগুলোতে যেন এক অপ্রত্যাশিত উৎসবের আলো জ্বলে উঠেছে, যেখানে অবিসংবাদিত নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএসমংয়ের পদধূলিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হৃদয়ে ফুটে উঠেছে আশার সোনালী রশ্মি—দীর্ঘ বঞ্চনার কালো ছায়া ভেদ করে যেন পাহাড়ের বুকে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।
রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার রোয়াংছড়ি সদর, খামতাং পাড়া, থোয়াইবতং পাড়া, চান্দা পাড়া, নিয়াংক্ষ্যং পাড়া, পলিকা পাড়া, বটতলি পাড়া, থানচি হেডম্যান পাড়া, বলি পাড়াসহ দূর্গম এলাকার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ফুল, ব্যানার ও ঢোল-করতাল নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যর্থনায় ভিড় জমায়, যেন এই উচ্ছ্বাসের ঢেউ পাহাড়ের চূড়া থেকে বয়ে এসেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ১সপ্তাহ সফরকালে পাহাড়ি জনপদ মুখরিত হয়ে ওঠে স্লোগানে, সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ যেন অবহেলিত এই অঞ্চলে নেতৃত্বের আলোয় জেগে উঠেছে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন।
কেএসমংয়ের এই অপ্রত্যাশিত আগমন যেন পাহাড়ের মানুষের হৃদয়ে জাগিয়েছে বিপ্লবের আগুন, যেখানে দীর্ঘদিনের উন্নয়নের অভাবে ধূসর হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে স্থানীয়রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়ো হয়ে তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্যার খোঁজখবর নিয়ে তিনি প্রতিটি পাড়ায় পৌঁছে যান, যেন তাঁর পদচিহ্নে ফুটে উঠছে আশার ফুলের বাগান।
স্থানীয় জনগণরা বলেন, “বহু বছর ধরে উন্নয়নের নামে প্রতিশ্রুতি শুধু শুনেছি, কিন্তু কেএসমংয়ের মতো নেতা এলে এই পাহাড়ের জনগণের জীবন আমূল বদলে যাবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাস্তঘাট সাজলে আমাদের সংস্কৃতি ও অধিকার রক্ষা পাবে নতুন করে।
প্রতিটি অভ্যর্থনা শেষে কেএসমং স্থানীয়দের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “পাহাড়ের মানুষের অধিকার, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি রক্ষা আমার অটুট প্রতিশ্রুতি; অবহেলিত এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে উন্নয়নের আলোয় আনব, যাতে এই দূর্গম জনপদ হয়ে ওঠে সমৃদ্ধির উদ্যান।” তাঁর এই কথা যেন পাহাড়ের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেয়, গ্রামীণ পথঘাট ও বাড়িঘর সাজানো হয় ফুল-বাঁশের তোরণে—সাধারণ মানুষের মুখে ফুটে ওঠে হাসির রেখা, বলেন, “দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাসে এই সফর যেন নতুন আশার দীপ্তি, যা আমাদের জীবনকে আলোকিত করবে অন্ধকারের পরিপন্থী হয়ে।
এই সফর যেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম কোণায় জাগিয়েছে নতুন আশার প্রভাত, যেখানে অবিসংবাদিত নেতৃত্বের ছোঁয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দেখছে উন্নয়নের স্বপ্ন সত্যির রূপ নেওয়ার প্রত্যয়—পাহাড়ের এই উচ্ছ্বাস যেন বাংলাদেশের উদারণ হয়ে উঠবে স্থানীয় শাসনের শক্তির প্রমাণস্বরূপ।