জেলা(বান্দরবান) প্রতিনিধি।।
নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জন্য শান্তির পথে ফিরে আসতে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে। তারা চাইলে আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসুক। তাদের জন্য যা যা করা লাগবে সেসবগুলো আমরা করবে। তবে স্বাধীন দেশের এই অবৈধ অস্ত্রধারীদের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা যতক্ষন শান্তির পরে ফিরে না আসবে ততক্ষণ যৌঘ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা তিনটায় বান্দরবান সার্কিট হাউজের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক এম খোরশীদ হোসেন।
এর আগে তিনি রুমা ও থানচি মসজিদ, উপজেলার পরিষদ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের করেন। পরে বান্দরবানে সার্কিট হাউজের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাঝে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খোরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবের অভিযান শুরু হয়ে গেছে। যেসব অস্ত্রগুলো লুট করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া স্বাধীন দেশের অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন নির্মুল না হওয়ার পর্যন্ত অভিযান চলবে।
আটজন ত্রিপুরাদের গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে প্রশ্ন করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। কেননা তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকতে পারে। তারা চিহ্নিত বা দেখিয়ে দিলে আমাদের জন্য সন্ত্রাসীদের আস্তানা অভিযান করার আরো সহজ হবে বলে মনে করি।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আমরা শান্তি চাই। সরকার প্রধান পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির প্রতিষ্ঠা জন্য সেনাবাহিনীর প্রত্যাখ্যান করেছে। যাতে পাহাড়ী অঞ্চলে সকল জাতিগোষ্ঠীর শান্তিতে বসবাস করুক। কিন্তু পাহাড়ের অশান্তি সৃষ্টি তৈরী হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে নাহ। তাই আমরা চাই যারা বিপদগামী গিয়েছে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি মাধ্যমে আলোচনায় এসে আবার শান্তির পথে ফিরে আসুক সেটি আমরা চাই।
এসময় পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উর্ধতন কর্মকর্তা উপিস্থিত ছিলেন।