নিজস্ব প্রতিবেদন।।
বান্দরবানের তিন উপজেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সকল জাতি গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণের কথা বিবেচনা করে এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন দিক থেকে আশ্বাস এর কথা চিন্তা করে কেএনএফ-এর ইমার্জেন্সি এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের মোতাবেক এর মাধ্যমে কেএনএফ কর্তৃক আহুত চলমান যানবাহন ধর্মঘটটি প্রত্যাহার করা হলো। আগামী ৭দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে কোন হস্তক্ষেপ বা সুরাহা না হলে আবার কেএনএফ কঠোরভাবে যানবাহন ধর্মঘটের ডাক দিতে প্রস্তুত।
কেএনএফ একটি শান্তিকামী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী সংগঠন। এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়কে বৃহত্তর বিবেচনায় নিয়ে কেএনএফ পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী সংলাপ অবধি সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সম্মত।
আগামী ২য় বারের মতো সংলাপের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি যাতে অত্রাঞ্চলের বিরাজমান পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা ও নিয়ন্ত্রণে অনুকূল পরিবেশ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সম্প্রীতির বান্দরবান অঞ্চলে যেন কেউ সাম্প্রদায়িকতা তৈরী না করতে পারে, তার জন্যে বান্দরাবনের সকল সম্প্রদায়কে আহবান জানাই।
তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনীর সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নাই এবং কেএনএফ সেনাবাহিনীকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক জানাতে চাই যে, কুকি জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে আপনাদের সহযোগীতার কথা আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি। তবে আমাদের জনগোষ্ঠীর সাথে সকল নাগরিক সুবিধা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আপনাদের উদারতা দেখানোর আহ্বান।
রুমার ঘটনায় প্রশাসনের নীরবতার প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা আমাদের সত্যি ব্যাথিত করে তা সত্ত্বেও আমরা আশা করি জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন নিরপেক্ষতার সাথে বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং অত্র উপজেলার প্রশাসনিকভাবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন প্রত্যেকের সহযোগিতা একান্ত কামনা করছি যাতে এহেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোন্দল আর কোন দিন সৃষ্টি না হয় এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি পূর্ণরাবৃত্তি না ঘটে।