আলীকদমে মসলা জাতীয় ফসলের মাঠ দিবস ও কারিগরী আলোচনা সেমিনার

0
21

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ।।আলীকদম।।

বান্দরবানের আলীকদমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় মাঠ দিবস ও কারিগরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে ) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় রুপমুহুরী রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট এর হল রুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় (স্হানীয় উন্নত জাতের আঁদা) প্রদর্শন করা হয়।

আলীকদম উপজেলা কৃষিবিদ কর্মকর্তা সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম রেজা’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মংসানু মার্মা,পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রফুজ বড়ুয়া,আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আলীকদম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাশুক আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলীকদম উপজেলা আমীর মাশুক এলাহীসহ,স্হানীয় গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভূট্রো বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রদান দেশ, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।সরকার কৃষকদের কে প্রণোদনা মাধ্যমে ধানের বীজ,গমের বীজ, হলুদ, মরিচ,আঁদা বীজ দেওয়া হচ্ছে এগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে এবং আন্তঃনির্ভর শীল হতে হবে।সরকারের পাশাপাশি কৃষকের আগ্রহ থাকলে আগামীতে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে পারবে।

কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরী আলোচনা সভায় উপজেলা কৃষিবিদ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমাদের দেশ বেশকিছু খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও মসলা জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পন্ন নয়। এখনো বিদেশ থেকে অনেক মসলা জাতীয় খাদ্য আমদানি করতে হয়। বিদেশ থেকে আমদানি কমাতে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রণোদনাসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকার চাইছে আমাদের কৃষকেরা নিজেরাই আবাদ করে,মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে সফল হবে। তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে। কৃষকের মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়াতেই এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন,আমাদের দেশে উৎপাদন কম হওয়ার কারণে বিদেশ থেকে মসল্লা আমদানি করতে হয়। সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের পিঁয়াজ, আদা, হলুদ,মরিচসহ বেশ কিছু মসলা বীজ দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আমদানি কমাতে এবং মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার উৎপাদন বাড়াতে হবে। তামাক চাষের পরিবর্তে সকল কৃষককে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তামাক চাষের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। যদি আপনারা সরকারের প্রণোদনাকে কাজে লাগিয়ে মসলা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে পারেন তাহলে আমাদের বিদেশের উপর আর নির্ভর করতে হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here