
ডেক্স রিপোর্ট:
পার্বত্য অঞ্চলের দুরন্ত কিশোর উটিওয়ং মারমা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিমন্যাস্টিকস খেলোয়াড় হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। সুযোগের সীমাবদ্ধতা আর কঠোর পরিবেশ সত্ত্বেও অবিরাম পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলে সে এখন দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় অ্যাথলেট।
শৈশব থেকেই পাহাড়ের উঁচুনিচু পথ আর গাছগাছালির মাঝে দৌড়ঝাঁপ ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে এক ক্রীড়া প্রশিক্ষকের নজরে পড়ে তার সহজাত নৈপুণ্য। এরপর শুরু হয় পেশাদার অনুশীলনের পথচলা। যথাযথ প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের সহযোগিতা এবং পরিবারের সমর্থনে ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে তার দক্ষতা।
উটিংওয়ং মারমা ইতিমধ্যে ফিলিপাইন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চায়না এই চারটি দেশে জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন। এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার পর তাকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিযোগিতা করেও সে অর্জন করেছে তিনটি দেশে। বিচারকদের রেকর্ডে এসেছে তার নিখুঁত ভারসাম্য, সাহসী ভল্ট এবং শৈল্পিক ফ্লোর রুটিন।
কোয়ান্টাম কোচ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৭৪টি দেশের ৩ জন করে মোট ২২২ জন প্রতিযোগিতার মধ্যে উটিংওয়ং মারমা অর্জন করেন ২১তম স্থান, কোরিয়ার অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তিনি অর্জন করেন ১১তম স্থান ও সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তিনি দুইবার প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করতে পেরেছেন।
তারা আরো বলেন, উটিংওয়ং মারমা মধ্যে একধরনের প্রাকৃতিক ফুর্তি আর শৃঙ্খলা আছে। ঠিকভাবে সুযোগ পেলে সে আরও বড় মঞ্চে দেশকে তুলে ধরবে।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, বান্দরবানে রুমা উপজেলা সদর ইউনিয়নের কোলাদি পাড়ার প্রুসানু মারমা এর ছেলে উটিংওয়ং মারমা। তিনি বর্তমানে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে দশম শ্রেণির ছাত্র।
আগামী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দেশের হয়ে পদক জেতা। পাহাড়ি জীবনের সংগ্রাম আর জেদের শক্তি তাকে এগিয়ে নিচ্ছে নতুন স্বপ্নের দিকে।
