রুমায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ; ৬০হাজার দিয়ে ধামাচাপা রাখার চেষ্টা ধর্ষকেরা

0
28

ডেক্স রিপোর্ট।।

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু  পাড়ার ৫জন যুবক মিলে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া আলেচু পাড়া থেকে সিংমেহ্লা মারমা নামে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মেম্বার, হেডম্যান ও পাড়ার প্রধানসহ (কারবারী) পাড়ার গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা এগারোটা দিকে ঘটনাটি ধামাচাপা রাখার জন্য সামাজিক আইনের রীতিনীতি অনুসারে এক বৈঠকে বসে। পরে ধর্ষিত পরিবারকে চিকিৎসা খরচের জন্য ১০হাজার টাকা ও জরিমানা ৫০হাজার টাকা দিয়ে ডিসমিস করার অভিযোগ ধর্ষিত মা-বাবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাইন্দু পাড়া প্রধান কারবারী থোয়াইসা মারমা বিচার সালিশের সভাপতিত্বে পাইন্দু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গংবাসে মার্মা ও পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মার্মা ধর্ষণকারী তাদের আত্মীয় বলে সামাজিক বিচারের আত্মীয়করণের ফলে অল্প টাকা জরিমানা দেখিয়ে সমাধান করা হয়েছে। এতে ধর্ষিত মা-বাবা ও স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের প্রকাশ করেছে।

মেম্বার গংবাসে মার্মা এর ভাষ্যমতে, সামাজিক সালিশি বিচারের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বক্তব্যে বলা হয়, চলতি মাসের প্রথমে এই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রাংমেশে মার্মা ছেলে শৈহাইনু মার্মা। বিষয়টি তার মাধ্যমে তার বন্ধু ক্যাহ্লা ওয়াইং, ক্য ওয়ং সাই, চহাই, উহাই সিং ও ক্য সাই ওয়ং জানতে পারে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে এই ছাত্রীকে সুযোগ বুঝে একে একে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এতে সবার মধ্যে এই ঘটনা জানাজানি হয় যায়। তারপর কারবারী থোয়াইসা মারমা’র ঘরে ধর্ষণ সংক্রান্ত সামাজিক সালিশি বিচার করা হয। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ৫ জনকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও চিকিৎসার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এসময় ভুক্তভোগী অভিভাবক ও পাড়াবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তারা এ সামাজিক সালিশি বিচারে মিলিত হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে ধর্ষিত বাবার চিংহ্লামং মারমা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়ে কিছু বলছে না। তবে স্থানীয় সহযোগিতা করলে সত্যের ঘটনা বলতে রাজি আছি বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, বিষয়টি আমরা ফেসবুকে পেয়েছি, আমি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতেছি। ধর্ষিত মা বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা থানায় মামলা করলে আসামীদের ধরার ব্যবস্থা নিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here