বাংলাদেশে আরো ৭ সীমান্তরক্ষী আশ্রয়; মোট দাড়াঁল ১১৩ জন বিজিপির

0
57

বিশেষ প্রতিনিধি।।বান্দরবান।।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরও ৭ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সংঘাতের জেরে এ নিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৩ জনে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল সোমবার রাত এবং আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৮ জন সদস্য সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে।

আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার রাতে অপর ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজিবির কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গোলাগুলি সংঘর্ষ চলছে।

এতে সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিজিপির ১১৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তারা বিজিপির কাছে আশ্রয় চাইলে হেফাজতে নেয়।

বিজিবি জানান, তাদেরকে (বিজিপি) নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। বিজিপির আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ( আরএমও ) মো. আশিকুর রহমান জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোট ৫ জন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ৪ জনকে চমেক হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়েনের ধামনখালী আনজুমান পাড়া টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরের এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পালংখালীর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সীমান্তে তার এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। ওপারের ছোঁড়া গুলি এসে পড়েছে এপারের বিভিন্ন বাড়ি ঘরের চালে উঠানে। এতে করে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করে পাহারা জোরদার করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here