সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ।।আলীকদম।।
বান্দরবানের আলীকদমে কারিতাসের এগ্রো- ইকোলজি প্রকল্প সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক ভাবে ৮টি জাতের গম চাষের প্রদশর্নী প্লটে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ ) সকাল ১০ ঘটিকার সময় ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কাসেম মেম্বার পাড়া এলাকায় কারিতাসের সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন গ্রামের উপকার ভোগীদের নিয়ে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে।
কারিতাস সূত্রে জানা যায়,কারিতাস বাংলাদেশ এর সাথে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনিষ্টিটিউড এর মধ্যে যৌথ ভাবে সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের আওতায় চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাসেম মেম্বার পাড়া এলাকায় গবেষণামূলক গমের ৮ টি বীজ রোপন করা হয়েছে যেমন- বারিগম-২৫, বারিগম -৩৩, গম BWMRI -1, গম BWMRI-2,গম BWMRI-3, গম BWMRI-4,গম BWMRI-4,গম BAW-1147,গম NADI -2 জাতের গম বপন করা হয়েছে।
মাঠ দিবসে কারিতাসের সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের গম চাষ গবেষণা সহকারী ক্যথোয়াই মার্মার সঞ্চালনায় কারিতাসের সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মিসেস জেসমিন চাকমা’র সভাপতিত্বে গম চাষী ও উপকার ভোগীরদের নিয়ে আয়োজিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা।
মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল দাশ, সাংবাদিক সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁসহ স্হানীয় মান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা বলেন, আলীকদম উপজেলায় গম চাষের জন্য উন্নত বীজ হিসেবে বারিগম -৩৩ জাতের বীজ বপন করতে পারেন। এই বারিগম -৩৩ জাতের গমের বীজ খরা সহিষ্ণু জাত হওয়ায় এই এলাকায় চাষের উপযোগী।গম চাষের উপর তেমন খরচ নেই, ৩ মাসের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।গম চাষ করতে হলে পানি নিশ্চিত করতে হবে,পানি না থাকলে গমের বীজ বপন করলেও তেমন ভালো ফলন হবে না জানান তিনি।
কারিতাসের সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা জেসমিন চাকমা বলেন, আলীকমে কারিতাস তত্ত্বাবধানে বিগত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে গম চাষের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু হয়। এ সময় চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিরাজ কার্বারী পাড়ায় প্রকল্পের উপকারভোগী নিয়ে ২০১৮ এর ডিসেম্বরে গম চাষের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
তিনি আরও বলেন,তুলনামূলক রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈবসারের পরিমাণ বাড়িয়ে গম চাষাবাদে দেখা গেছে বারী গম-৩৩ এর ফলন ভালো হয়েছে। গম চাষ বৃদ্ধি করা হলে অত্র উপজেলার কৃষকরা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।