স্টাফ রিপোর্টার।।খাগড়াছড়ি।।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার দূর্গম সীমান্ত এলাকা নাড়াইছড়ি মুখ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় স্কুলটির পাশেই নির্মাণ করা হয় এই শহীদ মিনারটি।
রঙিল কাগজ ও বাঁশ দিয়ে মোট ৫০ টাকা খরচে গড়ে তোলা হয় এই মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে বুনোফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষার্থীরা।
হাসিনা চাকমা নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, " সরকারে আমা স্কুলোত শহিদ মিনার তুলি দিলি হুজি অবং।"
আপন চাকমা নামে অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, "আমা স্কুলোত ভাষা শহিদ দিবস উদযাপন গুরিবাত্তে ইক্কু শহিদ মিনার দরকার।"
নাড়াইছড়ি মুখ নম্নি মাধ্যমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত চাকমা বলেন, আগামীতে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরিতে পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের চাঁদায়।
শহীদ মিনার তৈরিতে প্রশাসন থেকে কোন আশ্বাস পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি (প্রধান শিক্ষক) আরো বলেন, প্রশাসন থেকে এখনো কোন প্রকার আশ্বাস পাইনি। স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনিল জীবন চাকমা (কার্বারী) বিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণে প্রশাসনের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করেন। এতে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাষা শহিদদের প্রতি আরো চেতনা উজ্জীবিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা নাড়াইছড়ি। দুর্গম এই এলাকায় ২০২২ সালে খাগড়াছড়ি জেলার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস নাড়াইছড়ি মুখ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকাটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা বিপ্লবের সূচনা উদ্ভব হয়। বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তিন শ্রেণিতে পাঠদান চললেও মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে নেই কোন স্থায়ী শহিদ মিনার। বর্তমান বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৪জন। বর্তমানে একজন নারী শিক্ষকসহ ছয়জন শিক্ষকের পাঠদানে চলছে বিদ্যালয়টি।
সম্পাদক: শৈমং মার্মা (শৈবং)
নির্বাহী সম্পাদক: মংহাইথুই মার্মা
প্রধান কার্যালয়ঃ রুমা বাজার, মসজিদ গলি,রুমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
ফোন:০১৬৭৭১৪২৯৪৫,০১৫৫৩১২২৩৮৮।
ইমেইল : rumabarta23@gmail.com
www.rumabarta.com