আকাশ মার্মা মংসিং।।বান্দরবান।।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠির আরাকান আর্মি সাথে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী সরকারের এখনো তুমুল সংঘর্ষ চলেছে। এই সংঘর্ষে জেরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল শব্দ শোনা যাচ্ছে। দুই দলের সংঘাতের জেড়ে দেশটির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত কোনা পাড়া দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তারা। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে বাংলাদেশের আশ্রয় দেন বর্ডার গার্ড বিজিবি।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ব্যাটেলিয়ন সদরের স্কুল ভবনে রাখা হয়েছে। এর আগেও মিয়ানমারের ৩৩০ বিজিপির সদস্য প্রাণ রক্ষার্থে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আশ্রয় নেন। পরে তাদেরকে কক্সবাজার ইনানী ঘাট থেকে মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্যরা আগে এবং পরে যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে বিজিবি স্কুলের মাঠে রাখা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হবে।
সত্যতা নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু জানান, ভোরের সেহেরী খাওয়ার পর কোনা পাড়া থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী সেনা কর্তাকর্তাসহ বিজিপি ৩ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বিজিবি সদস্যরা নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবিদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আরো জানান, ভোরে যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ান সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সম্পাদক: শৈমং মার্মা (শৈবং)
নির্বাহী সম্পাদক: মংহাইথুই মার্মা
প্রধান কার্যালয়ঃ রুমা বাজার, মসজিদ গলি,রুমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
ফোন:০১৬৭৭১৪২৯৪৫,০১৫৫৩১২২৩৮৮।
ইমেইল : rumabarta23@gmail.com
www.rumabarta.com