।।দহেন বিকাশ ত্রিপুরা,খাগড়াছড়ি।।
ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ির মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায়, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের একাধিক অংশ তলিয়ে গেছে। এর ফলে সাজেক বেড়াতে আসা প্রায় ২৫০ জন পর্যটক আটকা পড়েছেন।
দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অন্যদিকে, চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ সাজেক সড়কের একাধিক অংশ পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যার ফলে সড়কটিতে সমস্ত ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, “সাজেক সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ২৫০ জন পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছেন এবং তারা আজ ফিরতে পারবেন না।”
অন্যদিকে, দীঘিনালার কবাখালিতে আটকা পড়া পর্যটক আমিনুল ইসলাম ও ওয়াহিদ কবির জানান, “আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি এবং বন্যার খবর জানতাম না। এখন আটকা পড়েছি। সড়কের দুই-তিন জায়গায় পানি উঠেছে এবং এতো দূর বাইক জার্নি করে আসার পর সাজেক যেতে পারছি না। আজ দীঘিনালায় অবস্থান করব এবং পানি কমলে সাজেক যাব।”
চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমছে, কিন্তু শহরের নিম্নাঞ্চলে এখনো বন্যার প্রভাব রয়ে গেছে। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা শান্ত ইসলাম ও তোফায়েল মিয়া জানান, তাদের এলাকায় বারবার বন্যার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে এবং এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা বা খাবার পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানিয়েছেন, “বন্যাদুর্গতদের জন্য ১২ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে, এর মধ্যে দুই হাজার ৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।”
এদিকে দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম। পাহাড়ি ঢলের কারণে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়াটার এলাকা তলিয়ে গেছে, ফলে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা জানান, “আশ্রয়কেন্দ্রে আসা বন্যাদুর্গতদের শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে দেওয়া হয়েছে। মাইনী নদীর পানি কমছে না, ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে এবং মেরুং বাজার এখনো পানির নিচে।”
সম্পাদক: হ্লাথোয়াইচিং মারমা (ভদন্ত নাইন্দিয়া থের)
নির্বাহী সম্পাদক: মংহাইথুই মার্মা
প্রধান কার্যালয়ঃ রুমা বাজার, মসজিদ গলি,রুমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
অফিস হটলাইন নাম্বার: +8801606760388
ইমেইল : rumabarta23@gmail.com